Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৮ ১৪৩২

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫:৪৯, ৮ ডিসেম্বর ২০২১
আপডেট: ১৮:৩৫, ৮ ডিসেম্বর ২০২১

মৌলভীবাজারে হানাদার মুক্ত দিবসে বর্ণাঢ্য পতাকা র‍্যালি

আজ ৮ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার পাক হানাদার মুক্ত দিবস। দিবসটি উপলক্ষে শহরে বের করা হয় পতাকা র‍্যালি। বর্ণাঢ্য এই আয়োজনে বীরমুক্তিযোদ্ধা, প্রশাসন ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ জেলার নানা প্রান্তের মানুষজন অংশগ্রহণ করেন। 

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন প্রাঙ্গণে জাতীয় ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড, মৌলভীবাজার-হবিগঞ্জ সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য জোহরা আলাউদ্দিন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, মৌলভীবাজার পৌরসভা, জেলা সিভিল সার্জন, জেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ, সামাজিক সংগঠন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করে। 

পুষ্পস্তবক অর্পন শেষে লাল সবুজের পতাকাসহ বিভিন্ন ফেস্টুন নিয়ে বর্ণাঢ্য বিজয় শোভাযাত্রা বের হয়। এতে মুক্তিযোদ্ধা, প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। বিজয় শোভাযাত্রাটি শহর প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।

পরে সেখানে স্মৃতিচারণ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানের সভাপতিত্বে ও জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জসীম উদ্দীন মাসুদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার-হবিগঞ্জ সংরক্ষিত আসনের মহিলা সংসদ সদস্য সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনসার আলী প্রমুখ।

৮ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় মৌলভীবাজার

৮ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার পাক হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এদিনে পাক হানাদার মুক্ত হয় মৌলভীবাজার জেলা। উড্ডিত হয় স্বাধীন বাংলার পতাকা। 

৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পর মুক্তিপাগল বাঙালি যুদ্ধের জন্য তৈরিই ছিলো বলা যায়। ২৭ মার্চ মৌলভীবাজারের শহরের পশ্চিম দিকে কনকপুর থেকে একটি প্রতিরোধ মিছিল আসে। অপর মিছিলটি আসে শহরের পূর্বদিক থেকে চাঁদনীঘাট ব্রিজ হয়ে। হাতে লাঠি, দা, গাদা বন্দুক। এটা মেনে নিতে পারেনি আগে থেকে শহরে অবস্থান করা পাক আর্মিরা। প্রতিরোধ মিছিলে নির্বিচারে গুলি চালায়। নিহত হন তারা মিয়া ও মো. জমির। মো. উস্তার ও সিরাজুল ইসলাম কলমদরকে চাঁদনীঘাট ব্রিজের কাছে প্রদর্শনী করে হত্যা করে পাক-হায়েনারা। 

মনু নদীর তীর ঘেষা সিএন্ডবি’র ইটখোলায় কাজ শেষে নিরীহ শ্রমিকরা ঘুমিয়ে ছিলো। একদিন ভোরে নরপশুরা সাত শ্রমিককে ধরে নিয়ে এসে হত্যা করে। পরে তাদের শহরের শাহ মোস্তফা সড়কের বেরি লেকের কাছে ফেলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের একটি কবরে সমাহিত করে। 

এছাড়া শ্রীমঙ্গল উপজেলার বর্তমান বিজিবি ক্যাম্পে ছিল পাক আর্মির ক্যাম্প। সেখানে মুক্তিযোদ্ধা সুদর্শন, মুকিত, রানু, সমর, শহীদকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তাদের লাশও পাওয়া যায়নি। পিটিআই টর্চার সেলে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা, নির্যাতন করে পাকবাহিনী।

আর্মিরা ধরে নিয়ে যায় ব্যেমকেশ ঘোষ টেমা বাবুসহ অনেককে। যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে।....বিস্তারিত 

আইনিউজ/বিষ্ণু দেব/এসডিপি 

মৌলভীবাজারে ১৩৩ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ৪০ বেকার তরুণ

মৌলভীবাজারের সাংস্কৃতিক উৎসবে মুগ্ধ বিদেশিনী

৮০ বছর বয়সে বৃদ্ধা নূরজাহান বেগমের মানবেতর জীবন

Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়