Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, রোববার   ২০ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৭ ১৪৩২

মো. ফরহাদ হোসেন

প্রকাশিত: ২১:২১, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২
আপডেট: ২১:৩৯, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২

চাচাতো ভাইকে বিয়ে করতে অনশন

আপন চাচাতো ভাইয়ের সাথে মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় বছর কয়েক আগে। এখন সেই চাচাতো ভাইকে বিয়ে করতে অনশন করছেন মেয়েটি। ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায়।

প্রতিবেশিদের সূত্রে জানা যায়, পরিবারের অগোচরে চাচাতো ভাইবোন প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ উঠেছে বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পরে তারা। এক পর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় পারিবারিকভাবে বিয়ে ঠিক হয়। তবে ছেলে পক্ষের ১০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবি মেটানোর অনীহায় ভেঙে যায় বিয়ে। 

এ অবস্থায় বিয়ের দাবিতে বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে ছেলের বাড়িতে অনশন করছেন ঐ যুবতী (২১)। তবে ছেলের পরিবারের দাবি, বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে ছেলে সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলে যাওয়ায় এ ব্যাপারে তারা কিছুই করতে পারবেন না।

আরও পড়ুন- উপজেলা পর্যায়ে সেরা লিটল ম্যাগাজিন কমলগঞ্জের ‘আরণ্যক’

সরেজমিন গিয়ে এলাকাবাসী ও মেয়েটির সাথে কথা বলে জানা যায়, দেড় বছর আগে চাচাতো ভাইয়ের সাথে চাচাতো বোনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ছেলেটি মেয়েটির চেয়ে দুই বছরের ছোট।

একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে মেয়েটির সাথে শারিরিক সম্পর্কে জড়ায় ওই ছেলে। ৭ মাস আগে বিষয়টি জানাজানি হলে পারিবারিকভাবে বিয়ে ঠিক হয়। ছেলের পছন্দ মতো কেনাকাটা শেষ করে মেয়ে পক্ষ। বিয়ের কয়েকদিন আগে ছেলেপক্ষ মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে মেয়ে পক্ষের কাছে ১০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে। এতে বিয়ে দিতে অনীহা প্রকাশ করেন মেয়ের বাবা-মা। এরপর থেকে একাধিকবার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সমাধানের চেষ্টা করলেও কোনো সুরাহা হয়নি। শেষে বৃহস্পতিবার সকালে বিয়ের দাবিতে ওই ছেলের বাড়িতে গিয়ে অনশন শুরু করে ওই মেয়েটি।

ছেলের পরিবারের দাবি, বুধবার রাতে রাসেল মিয়া দেশ ছেড়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলে গেছে। তবে মেয়ের দাবি, সে এখনো দেশে পালিয়ে আছে।

আরও পড়ুন- মেঘনা নদীতে ডুবে মৌলভীবাজার সরকারি স্কুলের ছাত্রের মৃত্যু

অনশনরত মেয়ে বলেন, রাসেল আমার সাথে প্রেম ও প্রলোভন দিয়ে আমার সর্বনাশ করেছে। বিয়ে ঠিক হওয়ার পর তারা ১০ হাজার টাকা যৌতুক চাওয়ায় আমার পরিবার বিয়ে ভেঙ্গে দেয়। তারপরেও আমার সাথে তার সম্পর্ক ছিল। সে আমাকে জোর করে অজ্ঞাত ঔষধ খাইয়ে দেওয়ায় আমার মাথায় ঝিমঝিম করছে। আমি বিয়ে ছাড়া তার বাড়ি ছেড়ে যাবো না।

ওই ছেলের নানা দলিল মিয়া বলেন, মেয়েপক্ষ বিয়ে ভেঙে দিয়েছে। কিন্তু মেয়ে সকালে এই বাড়িতে এসে বসে আছে। ছেলে সংযুক্ত আরব আমিরাত চলে গেছে। কিন্তু মেয়েকে আমরা বিষয়টি বুঝাতে পারছি না। ছেলে বিয়ে না করলে আমরা কিভাবে তাকে ঘরে তুলব? 

এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রিয়াংকা পাল বলেন, ঘটনা জানার পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের বিষয়টি দেখতে বলেছি। তাদেরকে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করতে বলেছি।

আইনিউজ/মো. ফরহাদ হোসেন/এসডিপি

আইনিউজ ভিডিও 

পোষ মানাতে হাতির বাচ্চাকে নির্মম প্রশিক্ষণ

হাতির আক্রমণে হাতি হত্যা মামলার আসামির মৃত্যু 

মানুষ হত্যা করেছে মা হাতিকে, দুধের জন্য কাঁদছে বাচ্চা হাতিটি

Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়