মো. ফাহাদ আহমদ, মৌলভীবাজার
আপডেট: ১৯:৪৬, ২৬ অক্টোবর ২০২২
মৌলভীবাজার | হারানো মোবাইল খুঁজে দেওয়ার জাদুকর এএসআই কামাল
শেরপুর ফাঁড়ি পুলিশে কর্মরত পুলিশের এএসআই মোশাহিদ কামাল
মৌলভীবাজারে হারানো মোবাইল খুঁজে বের করে দিয়ে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই)। সাধারণ মানুষের কাছে অন্যতম নির্ভর ব্যক্তি হয়ে উঠেছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বেশ প্রশংসিত হচ্ছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।তিনি মৌলভীবাজার মডেল থানার নিয়ন্ত্রণাধীন শেরপুর ফাঁড়ি পুলিশে কর্মরত পুলিশের এএসআই মোশাহিদ কামাল।
যাকে কেউ ডাকেন মোবাইল কামাল। আবার কেউবা ডাকেন হারানো মোবাইল খুঁজে দেওয়ার জাদুকর হিসাবে। ফাঁড়ি পুলিশে থাকাকালীন সময়ে ঐ এলাকার মানুষের ছিনতাই অথবা হারিয়ে যাওয়া প্রায় শতাধিক মোবাইল সেট প্রায় খুঁজে বের করে প্রকৃত মালিকদের নিকট পৌঁছে দিয়েছেন তিনি।
শতাধিক মানুষের হারিয়ে যাওয়া মোবাইল উদ্ধার করে দিয়েছেন এসআই মোশাহিদ কামাল ছবি- মো. ফাহাদ আহমেদ
ছিনতাই ও হারানো মোবাইল ফোনের বিভিন্ন বিষয়াদী নিয়ে পুলিশের এএসআই মোশাহিদ কামালের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি মনে করেন মোবাইলের বাজার মূল্য তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। মোবাইল খুঁজে বের করাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় ও চ্যালেঞ্জিং কাজ।
মোশাহিদ কামাল বলেন- হারানো অথবা ছিনতাই হয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনের জন্য অনেকে থানায় জিডি করেন। এর মধ্যে দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ রয়েছেন শ্রমিক, রিকশাচালক ও ব্যবসায়ীসহ নানান পেশার মানুষ। তারা জিডি করে আশায় বসে থাকেন যে, পুলিশ অবশ্যই ফোনটি খুঁজে বের করে প্রকৃত মালিকের নিকট ফেরত দিবে। আর এই নির্ভরের জায়গা থেকে জিডিমূলে আমিও গুরুত্বের সঙ্গে প্রকৃত মালিকের ফোন উদ্ধারের প্রাণপণ চেষ্টা করি। আমি মনে করি বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনেক দামি জিনিস হারানোর চেয়ে মোবাইল হারানোর কষ্ট অনেকটাই বেশি।
অবাক হওয়ার বিষয় হলেও সত্য একটা বিষয় দেখা গিয়েছে যে, অনেক সময় হারানো বা ছিনতাই হয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন জিডিমূলে উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের নিকট ফিরিয়ে দিলে অনেকেই বিশ্বাস করতে চায় না যে হারানো জিনিস খুঁজে পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে আমি মনে করি মানুষের বিশ্বাসের জায়গাটা অর্জন করাই আমার জন্য ব্যতিক্রমী একটা চ্যালেঞ্জ। যোগ করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
মানুষের হারানো মোবাইল উদ্ধার করে বর্তমানে সকলের প্রশংসায় ভাসছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। ছবি- ফাহাদ আহমেদ
তিনি বলেন- বিগত প্রায় এক বছরে মৌলভীবাজার মডেল থানায় ভুক্তভোগীর জিডির বিপরীতে প্রায় দুইশতাধিক মোবাইল ফোন খুঁজে বের করে প্রকৃত মালিকের নিকট ফিরিয়ে দিয়েছি। শুধু মৌলভীবাজার সদর মডেল থানা এলাকা নয় হারানো মোবাইল ফোন খুঁজে পেতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন ভুক্তভোগী অনেকেই।
এমন চ্যালেঞ্জিং কাজ করতে পেরে নিজেকে বাংলাদেশ পুলিশের একজন গর্বিত পুলিশ কর্মকর্তা মনে করেন বলেও জানান তিনি।
আইনিউজ/এইচএ
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’