Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শনিবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৬ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:১২, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২
আপডেট: ১৯:৪৫, ২৬ ডিসেম্বর ২০২২

মৌলভীবাজারে টানা ৩ দিনের ছুটিতে ২০ হাজার পর্যটক, ঈদের আনন্দ (ভিডিও)

লাউয়াছড়া উদ্যান সহ জেলা পরযযটনকেন্দ্র গুলোতে মানুষের ভিড়। ছবি- আইনিউজ

লাউয়াছড়া উদ্যান সহ জেলা পরযযটনকেন্দ্র গুলোতে মানুষের ভিড়। ছবি- আইনিউজ

মৌলভীবাজারে তিনদিনের ছুটিতে প্রায় ২০ হাজার পর্যটক এসেছেন। এতে আয় হয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন- সাধারণত ঈদের ছুটিতে এমনটা দেখা যায়। এবার টানা তিনদিনের ছুটি হওয়ায় মানুষ ঈদের আনন্দ নিয়ে বেড়াতে এসেছেন। আর মৌলভীবাজার দেশের অন্যতম পর্যটক আকর্ষণীয় স্থান হওয়ায় দর্শনার্থীদের ঢল নামে।

আজ রোববার (২৫ ডিসেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া, বাইক্কাবিল, মাধবকুন্ড, চা-বাগানসহ জেলার পর্যটনস্থান গুলোতে উপচেপড়া ভিড়। সকল দর্শনীয় স্থান লোকে লোকারণ্য।

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে কথা হয় ঢাকা থেকে আসা চাকরিজীবি আফসারুল হকের সাথে। তিনি আই নিউজকে বলেন, ‘আমরা পুরো পরিবার একসাথে এসেছি। মা-বাবা, ভাইবোন ও ছেলেমেয়েরা সকলে মিলে প্রায় ১৯ জন একসাথে এসেছি। সবাই মৌলভীবাজারের দর্শনীয়স্থানগুলো খুব উপভোগ করছে।’

আফসারুল হকের মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নবনীতা স্নেহা বলেন, ‘মৌলভীবাজার জেলার প্রকৃতি সবসময় ভালো লাগে। যেন নিসর্গশোভা। সারাদেশ থেকে ভিন্ন। লাউয়াছড়া, বাইক্কাবিলসহ অন্যান্য বন ও জলাশয়ের পশুপাখি-জীববৈচিত্র্য সবসময় টানে। যে কারণে আমাদের বারবার ছুটে আসতে ইচ্ছে করে।’

হাইল হাওরের বড়গাঙিনা-বাইক্কাবিলে কথা হয় সানজিদা সুরভির সাথে। তিনি এসেছেন চট্টগ্রাম থেকে।

মৌলভীবাজারের প্রকৃতিতে মুগ্ধতার পাশাপাশি হতাশার কথাও জানালেন। সুরভি বলেন, ‘এর আগে যখন বাইক্কাবিলে এসেছিলিাম। তখন অনেক গাছ দেখেছিলাম। এখন সেসব গাছ চোখে পড়ছে না। একই অবস্থা লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানেও। ক্রমেই কমে আসছে বনের গাছ, ঝোপ-জঙ্গল। সব যেন দিনদিন ফাঁকা হয়ে আসছে। বলেন- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এ শিক্ষার্থী।

স্কুল শিক্ষার্থী সৌমিক রায় এসেছে সিলেট থেকে। সৌমিকের অভিযোগ মানুষজন বেড়াতে এসে প্লাস্টিক-পলিথিন, বর্জ্যে পরিবেশ নষ্ট করে ফেলছে। শুধু তাই নয়, পরিবেশ, প্রকৃতি, গাছপালার ক্ষতি করছে। পর্যটকদের আরো সচেতনতা এবং নাগরিকবোধটুকু থাকা দরকার বলে মনে করে সৌমিক রায়।

এদিকে খুঁজ নিয়ে জানা গেছে- টানা তিনদিনের ছুটিতে মৌলভীবাজার জেলার প্রায় শতাধিক হোটেল-রিসোর্টগুলোতে কোথাও কোনো রুম খালি ছিল না। অনেকে রুম না পেয়ে ফিরে গেছেন।

জানা গেছে, লাউয়াছড়ায় তিনদিনে প্রায় ছয় থেকে সাত হাজার দর্শনার্থী প্রবেশ করেছেন।  

মৌলভীবাজারের হোটেল রিসোর্ট সুত্রে জানা যায়, আবাসিক হোটেল ও রিসোর্টগুলোতে কোনো রুম খালি নেই। ১০ থেকে ১৫ দিন আগেই বুকড হয়ে যায়। এ অবস্থায় পর্যটকদের আগে থেকে রুম বুকিং দেয়া না থাকলে বেড়াতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন অনেকে।

শ্রীমঙ্গল এসকেডি আমার বাড়ি রিসোর্টের এমডি সজল দাশ বলেন, আমার এখানে কোন রুম খালি নেই। পরিচিত অনেকের অনুরোধ ফিরিয়ে দিতে হয়েছে। এমনটা সাধারণত ঈদের ছুটিতে হয়। কিন্তু এবার তিনদিনের ছুটি একসাথে হওয়ায় মানুষ ঈদের মতই একটা বড় ছুটি কাটিয়েছে। যার কারণে সব রুম আগে থেকেই বুকড হয়ে যায়। এবার রেকর্ডসংখ্যক পর্যটক এসেছেন বলেই আমার ধারণা।

শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার সভাপতি সেলিম আহমদ তিনদিনের ছুটিতে পর্যটকের ঢল বিষয়ে কথা বলেন আই নিউজের সাথে। তিনি জানান, অনুমান করা হচ্ছে এই তিনদিনে মৌলভীবাজার জেলায় প্রায় ২০ হাজার পর্যটক এসেছেন। শুক্র ও শনিবার প্রথম দুইদিন সবকটি হোটেল-রিসোর্ট শতভাগ বুকড ছিল। আজ রোববার শেষদিনে সেটা একটু কমে ৯০ শতাংশ হয়েছে। তাদের থাকা-খা্ওয়া, পরিবহন, কেনাকাটা সবমিলিয়ে ৫ কোটি টাকা রাজস্ব এসেছে এই খাতে- ধারণা সেলিম আহমদের।

পর্যটকের ঢল, ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন Watch on YouTube অপশনে

আইনিউজ/এইচকে/এইচএ

আইনিউজে আরও পড়ুন-


দুবাইয়ে লটারি জিতে একরাতে কোটিপতি বাংলাদেশী যুবক | দুবাই প্রবাসী

মানুষ হ ত্যা করেছে মা হাতিকে, দুধের জন্য কাঁদছে বাচ্চা হাতিটি

Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়