Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, রোববার   ২৭ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ১৪ ১৪৩২

জুড়ী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬:৪২, ১৬ জুলাই ২০২৩

জুড়ীতে ২টি বাঘের আতঙ্কে রাত জাগেন গ্রামবাসী

চিতাবাঘ। ছবি- অনলাইন

চিতাবাঘ। ছবি- অনলাইন

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে জনমনে হঠাৎ করেই যেন দেখা দিয়েছে বাগের ভয়। উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের হাসনাবাদ এবং বাহাদুরপুর গ্রামের বাসিন্দারা মূলত এ আতঙ্ক প্রকাশ করেছেন। শুধু তাই নয় বাঘের ভয়ে বাঘ মোকাবিলায় রাত জেগে পাহারা দেওয়া হচ্ছে এসব গ্রামে। গ্রামের চারদিক ঘেরা টিলা—জঙ্গলে। মাঝেমধ্যেই এসব এলাকায় বাঘের উপস্থিতি দেখা যায়।  

এলাকাসূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরেই  হাসনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে রাতে দুইটি বাঘকে চলাচল করতে দেখেছেন এলাকাবাসী। সারারাত বিচরণের পর ভোরের দিকে বাঘ দুইটি পাশের বন-জঙ্গলে চলে যায় এমনটাই আপাতত ধারনা করছেন এলাকার বাসিন্দারা। 

ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামে বাঘের দেখা সম্প্রতি পাওয়া না গেলেও সজাগ থেকেন এ গ্রামের বাসিন্দারাও। পূর্বে এই এলাকা জঙ্গলে ঘেরা ছিল। চলাচল ছিল বাঘ, শেয়াল, হরিণ, গন্ধগোকুলসহ নানা ধরনের বন্যপ্রাণীর। এখনো মাঝেমাঝে খাবারের জন্য দুই একটি বাঘ লোকালয়ে চলে আসেন বলে জানান স্থানীয়রা।

হাসনাবাদ গ্রামে বাপ-দাদার আমল থেকে বসবাস করে আসছেন মোজাম্মিল হোসেন। তাঁর কাছে এলাকায় বাঘের ব্যাপারে জানতে চাইলেন বলেন, আমি যদিও দেখিনি তবে শুনেছি ইদানিং স্কুল মাঠে (হাসনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়) দুইটি বাঘ ঘুরাফেরা করে। এই এলাকায় এসব অস্বাভাবিক কিছু না। আগে এখানে বাঘ, হরিণের চলাচল ছিলো। বাঘ আক্রমণ করতে পারে এই আতঙ্কে গ্রামবাসী পালা করে রাতে পাহারা দিচ্ছেন। 

আরেকজন স্থানীয়ের সাথে আলাপ করে জানা গেছে রাতে স্কুল মাঠে ঘুরাফেরা করা বাঘগুলো চিতা বাঘ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। 

এলাকাবাসী জানান, এই এলাকায় এক সময় পাহাড় জঙ্গল ছিল। আগে মানুষের বসতি ছিল না। তখন এসব এলাকায় বড় বড় বাঘ, হরিণ, হাতিসহ বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণি ছিল। ধীরে ধীরে মানুষের বসতি গড়ে ওঠার কারণে এসব পশু-পাখি চলে যায়। এখনও বাহাদুরপুরের পূর্বে কিছু জঙ্গল রয়েছে যেসব এলাকায় কিছু বন্যপ্রাণি বসবাস করে। বেশিরভাগ সময় বানরের দল খাদ্যের অভাবে লোকালয়ে এসে বসতবাড়ির ফলমূল খেয়ে চলে যায়। এখনও সন্ধ্যার সময়ে এসব এলাকায় শেয়ালের পাল নামে। তবে গত কয়েকদিন থেকে সন্ধ্যার পর দুইটি বাঘ দেখতে পাচ্ছেন স্থানীয়রা। যেকোন সময় আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে রাত জেগে পাহারা দেওয়া হচ্ছে বলে তারা জানান।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আজাদ মিয়া জানান, কয়েকজন মহিলা বাঘ দেখেছেন বলে আমাকে জানিয়েছেন। বাঘগুলোর উপস্থিতি সুনির্দিষ্টভাবে শনাক্ত করা গেলে বন্যপ্রাণী অফিসে খবর দেওয়া হবে।

বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ মৌলভীবাজারের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এসব এলাকায় চিতা বাঘ থাকার কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই, তবে মেছো বিড়াল থাকতে পারে। লোক পাঠিয়ে খবর নেওয়া হবে।

আই নিউজ/এইচএ 

আরও পড়ুন
Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়