রুপম আচার্য্য
হিন্দু সম্প্রদায়ের দানকৃত সম্পত্তি
শ্রীমঙ্গলে দেবোত্তর সম্পত্তি জবর দখল করে ফসল উৎপাদন!
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে মখন মিয়া নামের এক ব্যবসায়ী অবৈধভাবে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি ইউসুফ আলী। শনিবার দুপুরে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ করে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘শ্রীমঙ্গল উপজেলার উত্তরসুর মৌজাতে বিসিক শিল্প নগরীর পাশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ট্রাস্টের নিকট দানকৃত দেবোত্তর সম্পত্তির প্রায় ৩ একর ভূমি জবর দখল করে ফসল উৎপাদন করছেন। হবিবপুর মৌজার ভূমিহীনদের বরাদ্ধকৃত ৩০ একর জমির গড়ে তুলেছেন বিশাল মাছের ফিশারী। শহরের সেন্ট্রাল রোডে এনিমি সম্পত্তি দখল করে মার্কেট নির্মাণ করে ভাড়া আদায় করছেন। এছাড়া তিনি সরকারের ৮১ লক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে উপজেলার তিনটি ছড়া থেকে মেশিন দিয়ে প্রতি দিন লক্ষ লক্ষ টাকার বালু ও মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করছেন বলে জানান।’
তিনি আরো বলেন, ‘এরশাদ সরকারের আমলে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার ফয়েজাবাদ হিলে সরকারী খাস ভূমিতে ভূমিহীনরা দিদারাবাদ ও সুন্দরাবাদ নামে ২টি গ্রাম তৈরী করে বসবাস করে আসছিল। মখন মিয়া ও তার লাঠিয়াল বাহিনী তাদেরকে উচ্ছেদ করে সেখানে লেবুর বাগান করেন। ১৯৯২ সালে ওই এলাকার আক্রাম উল্লাহর সুন্দরী স্ত্রী মিনারা খাতুনকে মখন মিয়া জোরপূর্বক অপহরণসহ নিখোঁজ করেন। আজ পর্যন্ত মিনারা খাতুনের কোন খোঁজ মেলেনি বলে তিনি জানান। মখন মিয়া ওই এলাকায় ফিনলে টি কোম্পানির ফয়জাবাদ চা বাগানের প্রায় ২০০ একর জমি তিনি জবর দখল করে লেবু ও আনারস বাগান গড়ে তুলেছেন।’
ইউসুফ আলী আরো বলেন, ‘মখন মিয়া ও তার সহযোগী ফুল মিয়া পরিবেশ বিপর্যয় করে ছড়ার স্বাভাবিক পানি প্রবাহ ব্যাহত করে বাঁধ দিয়ে মাটি ও বালু উত্তোলন করে মানুষের ফসলি জমি, ব্রিজ, কালর্ভাট ও রাস্তা ঘাটের ক্ষতি সাধন করছেন। মখন মিয়া ও ফুল মিয়ার এসব অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে তিনি লিখিতভাবে প্রশাসনের নিকট অভিযোগ করেন। তার অভিযোগের কারনে ফুল মিয়া, মখন মিয়া ও তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী গত ৮ জুলাই সাইটুলা এলাকায় ইউসুফ আলীর আত্মীয় জালাল মিয়ার উপর হামলা করে আহত করে। তাদের এসব অবৈধকর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় মখন মিয়া গত ১০ জুলাই তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মানহানিকর সংবাদ সম্মেলন করে। তিনি ফিনলে টি কোম্পানি ও প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানান, মখন মিয়ার কবল থেকে সরকারি খাস জমি উদ্ধার করে ভূমিহীনদের পুনবার্সন করতে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আকরাম উল্লাহ, লুৎফুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা আবু শহীদ আব্দুল্লাহ, মুক্তিযোদ্ধা এম এ মতলিব, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কুমুদ রঞ্জন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর হাকিম, ফটিক মিয়া, লিয়াকত আলী ও ব্যবসায়ী মুসাব্বির আল মাসুদ প্রমূখ।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে মখন মিয়া জানান, ‘মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবেন বলে জানান।’
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে) সহকারি কমিশনার সন্ধীপ তালুকদার জানান, ‘ভূমিহীনদের নামে বরাদ্ধকৃত জায়গা কেউ দখলে রাখতে পারবে না। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।’
হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক দেবী চন্দ্র জানান, ‘সরকারি খাস জায়গা যদি বন্দোবস্তো না থাকে তাহলে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে জমি উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়া হবে তিনি জানান।’
আইনিউজ/ইউএ
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’