মো. কাওছার ইকবাল, শ্রীমঙ্গল
৩ হাজার কেজি অবৈধ চা জব্দ ও
শ্রীমঙ্গলে নকল চা প্যাকেজিং কারখানায় অভিযান, ২ লক্ষ টাকা জরিমানা

নকল চা তৈরির কারখানায় জব্দ করা ৩ হাজার কেজি অবৈধ চা। ছবি- আই নিউজ
শ্রীমঙ্গলে চা পাতার গুদামে বাংলাদেশ চা বোর্ডের মোবাইল কোর্টের দুই দিনব্যাপী অভিযানে বেরিয়ে এসেছে নকল প্যাকেজিং কারখানা ও নকল করার সকল উপকরণ। পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ অবৈধ, মেয়াদ উত্তীর্ণ চাপাতাসহ ও বিভিন্ন নামিদামি ব্রান্ডের চা পাতার মোড়ক। এসব অভিযোগে সংশ্লিষ্ট চায়ের প্রতিষ্ঠানকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ চা বোর্ডের উপসচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ রুহুল আমীন নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট শহরের সোনার বাংলা রোডের তানভীর টি হাউসের সমর মিয়ার চা পাতার গুদামে অভিযান শুরু করে। এসময় সমর মিয়ারতানভির টি হাউসের ৭ টি গুদাম থেকে ৩ হাজার ২৫ কেজি অবৈধ চা জব্দ করা হয়।
অভিযান বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম (এনডিসি, পিএসসি) বলেন, আমাদের অভিযানের মূল উদ্দেশ্য হলো, চা শিল্পের উন্নয়ন। চায়ের অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করা এবং বৈধ ব্যাবসায়ীদের সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা। যারা বৈধ ব্যবসায়ী তারা যেন এই ব্যবসায় বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারে, এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। এজন্যই অবৈধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
চা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, সমর মিয়া দীর্ঘদিন থেকে ফিনলেসহ দেশের নামীদামী চা কোম্পানি, ভারতীয় চা ব্রান্ড কলকাতা টিসহ বিভিন্ন নামিদামি ব্রান্ডের মোড়ক নকল করে চা পাতা বাজারজাত করে আসছেন। তিনি তানভীর টি হাউসের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করছে বলে তাদের কাছে তথ্য ছিল। অভিযানে গুদামের ভেতরে নকল মোড়ক, মেশিনসহ বিভিন্ন উপকরণ পাওয়া যায়। গুদামের ভেতরে থাকা দুই শতাধিক বস্তা চা-পাতা জব্দ করা হয়। এসব চা পাতা দেশের চা পাতা নয় বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
এছাড়াও এসব চা পাতার অধিকাংশ নিম্নমানের এবং মেয়াদোত্তীর্ণ। প্রথম দিনের অভিযানকালে তানভীর টি হাউসের মূল মালিক সমর মিয়াকে পাওয়া যায়নি এবং বৃষ্টির কারণে পুরো প্রক্রিয়া শেষ করা যায়নি। এসব ভালো করে যাচাই-বাছাই করার জন্য ৭টি গুদামই মোবাইল কোর্ট সিলগালা করে দিয়েছে।
মোবাইল কোর্টের অভিযানে জব্দ করা বিভিন্ন কোম্পানির প্যাকেটে প্রস্তুত করে রাখা নকল চা পাতা। ছবি- আই নিউজ
অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন, চা বোর্ডের বিপণন কর্মকর্তা আহসান হাবিব, চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের পরিচালক ড. রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই) পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন, শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল।
মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালনার পর প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানা যায়, বাংলাদেশ চা বোর্ডের উপসচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ রুহুল আমীন শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে শ্রীমঙ্গল উপজেলার সোনার বাংলা রোডে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটিতে দ্বিতীয় দিনের মত অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় চা ক্রয়ের বৈধ কাগজপত্র না থাকায় প্রায় ৬ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের ৩,০২৫ কেজি অবৈধ চা জব্দ ও ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম (এনডিসি, পিএসসি) বলেন, আমাদের অভিযানের মূল উদ্দেশ্য হলো, চা শিল্পের উন্নয়ন। চায়ের অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করা এবং বৈধ ব্যাবসায়ীদের সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা। যারা বৈধ ব্যবসায়ী তারা যেন এই ব্যবসায় বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারে, এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। এজন্যই অবৈধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
-
মাকে খুঁজে চলেছে ৭ মাসের শিশু, বেঁচে নেই মা-বাবা, বোন কেউ
-
বড়লেখা যুবলীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন
এক প্রশ্নের উত্তরে ভারতীয় অবৈধ চায়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, বৈধভাবে যদি ভারত থেকে চা আসে এতে আমাদের বলার কিছু নেই। সরকারের নিয়মনীতি মেনে ট্যাক্স দিয়ে যদি কেউ ভারত থেকে চা আমদানি করে বা ব্যবসা করলে তাহলে কোন সমস্যা নেই। মূল কথা হলো, চা ব্যবসায় অবৈধ কোন কিছু করার সুযোগ আমরা দেব না। এক্ষেত্রে ভারতীয় চা হোক বা দেশের চা হোক, সর্বক্ষেত্রে বৈধ কাগজপত্র যেমন থাকতে হবে তেমনি মান নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারেও আমাদের কড়া নজরদারি থাকবে।
অভিযান বিষয়ে মোহাম্মাদ রুহুল আমীন বলেন, প্রতিষ্ঠানটি আইন অমান্য করে দীর্ঘদিন ধরে নিলাম বহির্ভুত অবৈধ চা মজুদ এবং বিপণনের সাথে জড়িত। এতে একদিকে অস্বাস্থ্যকর নিম্নমানের চা ভোক্তাদের কাছে পৌছে যাচ্ছে অন্যদিকে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা পঞ্চগড় থেকে এই অভিযান শুরু করেছি। এটি আমাদের দেশব্যাপী অভিযান। পঞ্চগড়ে ১০ দিন, এরপর চট্টগামে ১৫ দিনব্যাপী অভিযানের পর গত বুধবার থেকে শ্রীমঙ্গলে শুরু করেছি। চায়ের অবৈধ ব্যবসা বন্ধে সারাদেশে এ ধরণের অভিযান চলমান থাকবে।
আই নিউজ/এইচএ
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’