শ্রীমঙ্গলে পাওয়া গলিত লাশের পরিচয় সনাক্ত, আসামী গ্রেফতার

খু নে র ঘটনায় জড়িত আসামি সুজন মিয়া।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল পৌরসভার নতুন বাজার এলাকায় গত রোববার (৪ ডিসেম্বর) মুন আবাসিক হোটেলে একটি অজ্ঞাত অর্ধ গলিত লাশ পাওয়া যায়। লাশের পরিচয় সনাক্ত করতে পেরেছে পুলিশ। সেইসঙ্গে খু নে র এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

নি হ ত ব্যক্তি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার কালেঙ্গা গ্রামের মৃত ইনু মিয়ার ছেলে ইন্তাজ মীর (৫২)। পাশাপাশি এই খুনের ঘটনায় গ্রেফতার আসামির নাম সুজন মিয়া।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে সুজন মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। সুজন মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলার বর্ষিজোড়া (সোনাপুর) গ্রামের মৃত আবারক মিয়ার ছেলে।

জিজ্ঞাসাবাদ সুজন মিয়া জানান, নি হ ত ইন্তাজ মীরের অটোরিকসা চুরি করে বিক্রির জন্য তাকে গ লা টি পে হ ত্যা করা হয়। পরে আসামির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শ্রীমঙ্গল থানাধীন ৬নং আশিদ্রোন ইউপির অন্তর্গত সিন্দুরখান রোডস্থ রামনগর গ্রামের কাকিয়ার পুলের কাছে সবুজ মিয়ার ভাড়াটিয়া গাড়ি চার্জিং এর গ্যারেজ থেকে নি হ তে র ব্যবহৃত ব্যাটারি চালিত একটি অটোরিক্সা উদ্ধার করা হয়।

কমলগঞ্জে গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেল যাত্রী নিহত

এ ছাড়া, গ্রেপ্তারকৃত আসামির দেহ তল্লাশি করে নিহত ইন্তাজ মীরের ব্যবহৃত ১টি কালো রংয়ের ওয়ালটন মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, ‌‘অজ্ঞাতনামা লাশ হওয়ায় শ্রীমঙ্গল থানার এসআই কামরুল ইসলাম গ্রেপ্তারকৃত সুজন মিয়াসহ অজ্ঞাত ২/১ জনকে আসামি উল্লেখ্য করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মৌলভীবাজার জেলার পুলিশ সুপার মহোদয়ের সার্বিক দিকদির্দেশনায় ও শ্রীমঙ্গল সার্কেল এএসপি স্যারের তত্বাবধানে শ্রীমঙ্গল থানার একটি দল এই খুনের রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করে। আমরা হোটেলের রেজিস্টার পর্যালোচনা, আমাদের সোর্স ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় খুনের ঘটনায় জড়িত আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই এবং নিহতের অটোরিকসা ও মোবাইল উদ্ধার করি।’

আই নিউজ/এইচএ