নিজস্ব প্রতিবেদক
মৌলভীবাজারে সমলয় পদ্ধতে বোরো ধান রোপণ
কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম. ছবি- আই নিউজ
মৌলভীবাজারে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। পতিত জমিতে সমলয় পদ্ধতিতে চাষের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়াতে তৃণমূল পর্যায়ে কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। এরিমেধ্যে সদর উপজেলার আখাইলকুড়ায় যন্ত্র দিয়ে সমলয়ে বোরো ধানের চারা রোপণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম, উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল হোসেন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সামসুদ্দিন আহমদ।
উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন চৌধুরী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাগিব মাহফুজ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালিক তরফদার (ভিপি সোয়েব), আখাইলকুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান চুনু, আওয়ামী লীগ নেতা এমদাদুল হক রেনু প্রমুখ।
স্থানীয় গিয়াসনগর ইউনিয়নের ট্রান্সপ্লান্টার চালক আফজল হোসেন বলেন- যন্ত্র দিয়ে সমলয়ে ধান রোপণ করে আমরা খুবই লাভবান। কারণ, একটা যন্ত্র দিয়ে একজন চালক ও সহযোগি দিয়ে দশ বিঘা ফসল রোপণ করা যায়। এক বিঘায় পেট্রোল খরচ হয় এক লিটার। সেখানে দশ বঘা জমিতে ধান রোপণে ৪০ জন্য শ্রমিক দরকার। এতে আমাদের খরচ অনেক কমে আসছে। ফলনও ভালো হচ্ছে। কমদিনে সঠিক সময়ে হালি চারা লাগাতে পারছি। বিঘাপ্রতি হাইব্রিড জাতের ২০ থেকে ৩০ মণ ধান পাচ্ছি। সেখানে হাত দিয়ে রোপণ করলে ১৫ থেকে ১৮ মণ ধান পাওয়া যায়। সনাতন পদ্ধতিতে খরচ বেশি। যান্ত্রিক পদ্ধতিতে খরচ অনেক কম, উৎপাদন বেশি।
কৃষক কৃষক মিলাদ হোসেন বলেন, আমি এ মৌসুমে ২০ একর জায়গায় সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষ করছি। যেখানে স্থানীয়ভাবে চাষ করে বিঘা প্রতি ৭ থেকে ৮ মণ ধান পেতাম। আশা করছি এখন বিঘা প্রতি ২০ থেকে ২৫ মণ ধান পাবো। তাছাড়া শ্রমিক সংকটে অনেক সময় ধান চাষ করা সম্ভব হয় না। এবছর সে সংকট নেই। কৃষি বিভাগ থেকে বীজ, সার দেওয়া হয়েছে।
আরেক কৃষক শেখ জাবির বলেন, মানুষ সমলয় চাষাবাদের ব্যাপক আগ্রহী হয়ে উঠেছে। আশা করছি আগামী মৌসুমে আরো ৬০ শতাংশ বেশি মানুষ আগ্রহী হয়ে উঠবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাগিব মাহফুজ বলেন, রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টার মেশিন দিয়ে ধানের চারা একই গভীরতায় সমানভাবে লাগানো হয়েছে। ফলে বাড়বে ফলনও। একসঙ্গে চারা রোপণ করায় ধান একসঙ্গে পাকবে এবং একসঙ্গে ফসল ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকরা। এ মৌসুমে সদর উপজেলায় ৫০ একর জমিতে সমলয়ে বোরো ধান চাষাবাদ করা হচ্ছে।
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সামসুদ্দিন আহমদ বলেন, মৌলভীবাজার জেলায় এ মৌসুমে দুইটি সমলয় পেয়েছি। এরমধ্যে সদর উপজেলায় একটি উদ্বোধন হয়েছে। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি। আগামী মৌসুমে আরো চারটি এবং আরো দুইটি সমলয় সরকারি বরাদ্ধ পাবো আশা করছি। এভাবে অনাবাদি জমি আবাদের জন্য এই সমলয় অত্যন্ত কাজ করবে। পাশাপাশি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। কৃষকদের উন্নতজাতের হাইব্রিড বীজ দিচ্ছি। আমরা সেঁচযন্ত্র দেওয়ার জন্য প্রকল্প নেবো। এভাবে অনাবাদি জমি সমলয়ের মাধ্যমে বোরো আবাদের আওতায় নিয়ে আসবো। বোরো আবাদের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
জেলা প্রশাসক ড. উর্ম বিনতে সালাম বলেন, মাঠে এসে দেখলাম কৃষিকে লাভজনক ও আধুনিকীকরণ করার জন্য সমলয় পদ্ধতিতে বীজ রোপণ, চারা রোপণ, কর্তন করা হচ্ছে। এটা অত্যন্ত কার্যকর একটা পদ্ধতি। সমলয় পদ্ধতি জেলার সকল প্রান্তে পৌঁছে দিতে সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। সিলেট বিভাগে পতিত জমি বেশি।মৌলভীবাজার জেলা এর বাইরে নয়। এই জেলাতে অনেক আবাদ জমি চাষের আওতায় নিয়ে আসবো। সেঁচ সমস্যা সমাধানে আমরা কাজ করবো। যেসব বেদখলকৃত খাল রয়েছে সেগুলো পুণরুদ্ধার করে খননের ব্যবস্থা করবো।
আই নিউজ/এইচএ
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’