সালাহউদ্দিন শুভ, মৌলভীবাজার
আপডেট: ১৯:১৫, ৩ মার্চ ২০২৪
কমলগঞ্জে বরই চাষে এলাকায় মডেল আজাদুর
বাগানে আছে কাশ্মীরি আপেল কুল, বাউকুল, জাম্বুকুল ও ঢাকা-৯০ জাতের বরই। ছবি- আই নিউজ
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগরে ১৫ বছর ধরে বরই চাষে এলাকার মডেলে পরিণত হয়েছে বরই চাষি আজাদুর রহমান। তার বাগানে আছে কাশ্মীরি আপেল কুল, বাউকুল, জাম্বুকুল ও ঢাকা-৯০ কুল। এলাকার চাহিদা পূরণের পর ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাণিজ্যিকভাবে সরবরাহ হচ্ছে এ বরই।
কৃষি বিভাগ জানায়, আবহাওয়া ও মাটির বৈশিষ্ট্য অনুকূলে থাকায় মৌলভীবাজারে চলতি মৌসুমে মিষ্টি বরই আবাদ হয়েছে। আজাদের বাগানে ভালো বরই চাষ হওয়ায় এলাকার যেমন চাহিদা মিটছে; তেমনি বরই চাষ করে তিনি এলাকার অনেকের কাছে মডেল হয়েছেন। তার দেখাদেখি অনেকেই এখন বরই চাষের দিকে ঝুঁকছেন। তারা আরও জানায়, দেশে গবেষনা থেকে নতুন জাত বের করা দরকার। দেশের বাহির থেকে জাত গুলো না এনে দেশে যদি উৎপাদিত হত তাহলে দীর্ঘস্থায়ী হতো।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, ৭ একর জমিতে লাগানো বাগানের প্রতিটি গাছে ঢাকা-৯০ কুলে ছেয়ে আছে। ফলের ভারে গাছসহ ডালগুলো নিচের দিকে নুয়ে পড়েছে। বাঁশের খুঁটি দিয়ে আগলে রাখা হয়েছে প্রতিটি গাছ। পাখির হাত থেকে বরই রক্ষায় পুরো বাগান জাল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। ১০ থেকে ১৫ জন শ্রমিক বরই বাগানে কাজ করছেন। আজাদুর রহমান প্রতিবছর বড়ই ও ফুলগাছের ছাড়া থেকে ৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ৭ লাখ টাকা আয় করেন। তার সফলতা দেখে এলাকার লোকজন অবাক হয়ে যান। চলতি মৌসুমে আজাদুর রহমান ঢাকা-৯০ জাতের বরই চাষ করে বেশি লাভবান হচ্ছেন।
বাগান মালিক আজাদুর রহমান বলেন, ‘প্রতিবছর বাগান থেকে ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা আয় হয়। অল্প দিনে বরই চাষ করে লাভবান হওয়া যায়। বিক্রির পাশাপাশি কলম চারা তৈরি করছি। বিভিন্ন ফল-ফুলের চারাও বিক্রি করি। কাশ্মীরি আপেল কুল, বাউকুল, জাম্বুকুল বিক্রি প্রায় শেষ। এ মৌসুমে টক-মিষ্টি সমৃদ্ধ রসালো ঢাকা-৯০ জাতের বরই প্রতি কেজি ১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ কেজি বরই বাগান থেকে সংগ্রহ করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, আমার ৭ একর বড়ই চাষ করতে প্রায় ৪ লক্ষ টাকার মতো খরচ হয়েছে। এই পর্যন্ত ৪ লক্ষ টাকার বরই বিক্রি করেছি। আমার বাগানে আর ৩ লক্ষ টাকার বড়ই আছে।
বাগান দেখতে আসা কমলগঞ্জ পৌর এলাকার বাসিন্দা সালাহউদ্দিন শুভ ও সাইদুল ইসলাম তারা বলেন, ‘আমার মতো আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন লোকজন বরই বাগানটি দেখতে আসছেন। আমরা ১০ কেজি বড়ই নিয়েছি। পরিবার ও আত্বীয়দের দেওয়ার জন্য। খুব সুস্বাদু বড়ইগুলো। আজাদুর রহমান ভাই এ বাগান করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।’
বরই কিনতে শ্রীমঙ্গল উপজেলা থেকে আসা পপি আক্তার ডলি বলেন, ‘শমশেরনগর বিমান ঘাঁটি এলাকার বরই খুব মজাদার। তাই অনেক দূর থেকে বরই কিনতে এলাম। প্রায় ৫ কেজির মতো বড়ই নিয়েছি।’
মৌলভীবাজার কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সামসুদ্দিন আহমদ বলেন, ‘জেলায় ২০২ হেক্টর জমিতে বরই আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া ও মাটির গুণাবলি ভালো থাকায় বরইর ফলন ভালো হয়েছে। জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগরে আজাদুর রহমানের বাগানের বরইগুলো খুবই সুস্বাদু ও মিষ্টি। তার বাগান দেখে অনেক বেকার যুবক বরই বাগান করতে উৎসাহী হয়ে উঠছেন। ভালো ফলনের জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বাগান মালিকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে।’
তিরি আরও বলেন, এখন কৃষকরা ভালো ফলনের জন্য নিজেরাই ভালো জাত খুঁজে রোপন করছেন। তাদের ফলনও ভালো হয়। গবেষনা থেকে নতুন জাত দরকার। দেশের বাহির থেকে জাত গুলো না এনে দেশে যদি উৎপাদিত হত তাহলে দীর্ঘস্থায়ী হতো।
আই নিউজ/এইচএ
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’