মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
আপডেট: ১৭:৩৩, ২৮ মে ২০২৪
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিদ্যুৎহীন মৌলভীবাজার, মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যাহত
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মৌলভীবাজারে দিনভর বৃষ্টি। ছবি : আই নিউজ
দেশের উপকূলে তাণ্ডব চালিয়ে ঘূর্ণিঝড় রিমেল নোমকার সকালে সিলেটে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সোমবার (২৭ মে) সকাল থেকে মৌলভীবাজারে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়। যা মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত অব্যাহত আছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের তার এবং খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে মৌলভীবাজার জেলা শহরসহ পুরো জেলাজুড়ে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। সিলেট বিভাগের বাকি তিনটা জেলা সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও সিলেটেও একই চিত্র।
অবিরাম বৃষ্টির মধ্যেই লাইন মেরামতের কাজ করছেন পল্লী বিদ্যুৎ ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কর্মীরা। তাদের সর্বাত্মক চেষ্টায় মঙ্গলবার বিকেল তিনটার পর থেকে মৌলভীবাজার শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ আসতে শুরু করেছে।
বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কও ব্যাহত হয়। নেটওয়ার্ক না থাকায় জরুরী প্রয়োজনেও মোবাইলেও কল করতে পারেন নি গ্রাহকরা।
প্রবল বৃষ্টির কারণে জেলার অনেক স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে পড়ারও খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত তিনঘন্টায় ৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এর আগে সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ২৪৯ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়- ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে হওয়া ঝড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের তার ও খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলো মেরামতের চেষ্টা চলছে।
মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে জানতে চাইলে মৌলভীবাজার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফজলুল করিম জানান ওই সময় পর্যন্ত ছয়টি ফিড চালু হয়েছে। এগুলো হলো- ১১কেভি পশ্চিমবাজার, সার্কিট হাউজ, কুসুমবাগ, ডিসি, সদর হাসপাতাল এবং ১১কেভি কাজিরগাঁও। বন্ধ আছে চারটি ফিড।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল বলেন- দুপুর ১টার দিকে ধলাই নদীর পানি বিপদসীমার ৩ সে: মি: উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর পানি অনেক নিচে থাকায় আশা করা যাচ্ছে ধলাই নদীর পানি অতিদ্রুত কুশিয়ারাতে পতিত হবে। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। পানি উন্নয়ন বোর্ড-এর মনিটরিং টিম মাঠে রয়েছে। আমাদের পর্যাপ্ত জিও-ব্যাগ ও সিনথেটিক ব্যাগ মজুদ রয়েছে। সার্বিক বিষয়ে সকলের সহযোগিতার প্রয়োজন।
তিনি জানান- মৌলভীবাজার শহর সংলগ্ন চাঁদনীঘাট ও কুলাউড়ার রেলওয়ে ব্রিজ পয়েন্ট দিয়ে বিপৎসীমার অনেক নীচে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল কাদির বলেন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে সিলেট বিভাগে গ্রাহক আছেন প্রায় সাড়ে ৭ লাখ। এর মধ্যে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছেন প্রায় সাড়ে তিন লাখ গ্রাহক। তিনি বলেন,
এদিকে সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নিম্নচাপ সিলেট বিভাগে অবস্থান করছিল। এ কারণে বৃষ্টিপাত ও ঝড়ের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছিল। তবে দুপুরের পর থেকে বৃষ্টি কমেছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়া ও প্রবল বর্ষণের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে মৌলভীবাজারের জনজীবন। মঙ্গলবার সকাল থেকে নগরীর সড়কগুলোতে যানবাহনের সংকট রয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না মানুষজন। তবে চাকরিজীবিদের নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে, স্কুল কলেজ খোলা থাকলেও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম ছিলো। তবে পরীক্ষা থাকায় অনেক শিক্ষার্থীরা প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও বিদ্যালয়ে যেতে দেখা গেছে।
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’