Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বুধবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ১০ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক, মৌলভীবাজার

প্রকাশিত: ১৩:১৯, ৩ জুলাই ২০২৪

মৌলভীবাজারে বাড়ছেই মনুর পানি, আতঙ্কে মানুষ 

আগেরদিন এসব জায়গা শুকনো থাকলেও বুধবার সকালে তা প্লাবিত হয়ে যায়। ছবি- আই নিউজ

আগেরদিন এসব জায়গা শুকনো থাকলেও বুধবার সকালে তা প্লাবিত হয়ে যায়। ছবি- আই নিউজ

মৌলভীবাজার জেলায় গত দুই দিন ধরে ক্রমেই বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এখনো বেড়েই চলেছে জেলার নদ-নদীর পানি। গত এক রাতের ব্যবধানে মনু নদের পানি বেড়ে গেছে প্রায় দ্বিগুণ। উপচে পড়া পানিতে তলিয়ে গেছে জেলার অন্তত ৫টি এলাকা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লাখো মানুষ। কোথাও বাঁধ ভেঙেছে নদীর পানি, আবার কোথাও বাঁধ ভাঙার শঙ্কায় প্রহর গুনছেন সাধারণ মানুষ। 

বুধবার (০৩ জুলাই) সকালে মনু নদে পানি প্রবাহিত হচ্ছে ১১ দশমিক ৭৮ সে.মি উচ্চতা দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। দুপুরের মধ্যে পানির উচ্চতা বেড়েছে আরও ২ সে.মি। বর্তমানে মনু নদের চাঁদনীঘাট পয়েন্ট দিয়ে ১১ দশমিক ৮০ সে.মি উচ্চতা দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। যা বিপদসীমার থেকে ৫০ সে.মি বেশি বলে জানিয়েছে মৌলভীবাজার জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য বলছে, এই মুহুর্তে শুধুমাত্র ধলাই নদী ছাড়া মৌলভীবাজারের বাকি সব নদ-নদীতে বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এরমধ্যে সবশেষ রেকর্ড অনুযায়ী মনুর রেলওয়ে ব্রীজ পয়েন্টে ১০ সে.মি উপর দিয়ে, শেরপুরে কুশিয়ারা নদীতে ১৯ সে.মি এবং জুড়ী নদীতে ১৯০ সে.মি বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

মনু নদে হু হু করে বাড়ছে পানি, সেই সঙ্গে বাড়ছে পাড়ের মানুষের আতঙ্ক। ছবি- আই নিউজ


একদিন আগে মনু নদের চাঁদনীঘাট পয়েন্টে ১১.৫৬ সে.মি উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হয়েছে। তবে রাত পেরোতেই পানি বৃদ্ধি পায় প্রায় ৫০ সে.মি। কুশিয়ারায় গতকাল রাতে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল ৮.৭২ সে.মি উচ্চতায়। তবে, বুধবার দুপুরে এখানে ৮.৭৪ সে.মি উপর দিয়ে পানি বইছিল। জুড়ী নদীতেও গতকাল রাতের তুলনায় পানি বেড়ে গেছে। 

তবে, আশার কথা হচ্ছে শেরপুর পয়েন্টে কুশিয়ারা নদীর পানি কমতির রয়েছে। ধলাই নদীতে এখনো নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেনি। ধলাইয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমার ১৬৮ সে.মি নীচ দিয়ে। আর কুশিয়ারা নদীতে পানি কমতে থাকলে মৌলভীবাজারের মনু নদেও পানি কমতে শুরু করবে বলে মনে করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।  

এর আগে মঙ্গলবার সকালে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার হামরকোনায় কুশিয়ারার পানি উপচে প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে জনপদে প্রবেশ করেছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে খলিলপুর ইউনিয়নের হামরকোনা গ্রামে পানির তোড়ে প্রতিরক্ষা বাঁধটি ভেঙে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েন গ্রামের শতাধিক পরিবারের মানুষ। 

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, দ্বিতীয় দফায় মৌলভীবাজারে বন্যায় ৫টি এলাকায় প্রবেশ করছে নদ-নদীর উপচে পড়া পানি। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন জেলার ৩ লাখের বেশি মানুষ। বন্যার্তদের চিকিৎসা সহায়তার জন্য ইউনিয়ন ভিত্তিক মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারিভাবে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। 

আই নিউজ/এইচএ 

আরও পড়ুন
Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়