নিজস্ব প্রতিবেদক, মৌলভীবাজার
কালা মিয়ার নামে বাজারের নাম হয়েছিল কালার বাজার

কালার বাজার প্রতিষ্ঠা হয় আজ থেকে প্রায় ৬০ বছর আগে।
গ্রাম বাংলার দৈনন্দিন জীবনে, আজও বাজার একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। বেশিরভাগ মানুষ এখনো নিত্যদিনের বাজারসদাই কেনাবেচা করেন বিভিন্ন জায়গায় বসা বাজারকে ঘিরে। আর এসব বাজার গড়ে ওঠার পেছনে থাকে নানা গল্পকথা, তথ্য ও ইতিহাস। মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার ২ নং উত্তরভাগ ইউনিয়নের তেমনি একটি বাজার নিয়ে জানবো আজ।
লোকমুখে পরিচিত এই বাজারের নাম কালার বাজার। যদিও আজকে যা কালার বাজার নামে পরিচিত বাজারের যাত্রার শুরুতে তার নাম ছিল নলার মুখ কালা বাজার। কালের বিবর্তনে সংক্ষেপিত হয়ে বাজারটি এখন কালার বাজার নামেই বেশি পরিচিত। পাঁচ থেকে ছয়টি গ্রামের বাসিন্দারা নিয়মিত আসেন এই বাজারে। কিনে নিয়ে যান ঘর সংসারের প্রয়োজনীয় দ্রব্য পণ্য।
কালার বাজার একটি গ্রামীণ বাজার হওয়ায় এখানে বেশি পাওয়া যায় গ্রামের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস। পান, কাঁচা সুপারি, নারকেল, হাওর থেকে ধরে আনা দেশীয় জাতের মাছসহ টাটকা শাকসবজী। গ্রামের সাধারণ মানুষদের সাধারণ চাহিদার কথা মাথায় রেখেই যেন দোকানে দোকানে পণ্যের পশরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানীরা।
কালার বাজার প্রতিষ্ঠা হয় আজ থেকে প্রায় ৬০ বছর আগে। জানা যায়, ১৯৬৫ সালে কালা মিয়া নামের এক স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তির উদ্যোগে এই বাজারটি প্রতিষ্ঠা পায়। এর আগে এ অঞ্চলের মানুষ বাজার করতেন অন্য এলাকায়। একদিন দ্বন্দ্বের জের ধরে কালা মিয়া নিজেদের এলাকাই নিজেই একটি বাজার বসান মাত্র একটি টং দোকান দিয়ে। অর্ধশত বছর পর সেই বাজারটিই আজকের এই কালার বাজার।
কালার বাজারে সড়ক ও নৌপথ দুইভাবেই যাতায়াত করা যায়। সড়ক পথে মৌলভীবাজার সদর শহর থেকে সহজেই আসা যায় কালার বাজারে। পাশাপাশি আশেপাশের কয়েকটি গ্রাম থেকে বাজারে আসতে হয় নৌকা যোগে। এরমধ্যে ডেখাপুর, কান্দিগাও, ছিক্কা, বকশিপুর ও টিলাগাও থেকে হরহামেশাই নৌকা দিয়ে অনেক মানুষ আসেন এই বাজারে। কালার বাজার আশেপাশের অন্তত ৫টি গ্রামের মানুষের বাজারসদাইর কাজে আসে।
প্রতি সপ্তাহের শুক্রবার ও সোমবারে কালার বাজার থাকে অন্য দিনের চেয়ে বেশি ব্যস্ত। কেননা, সপ্তাহের এই দুইদিন কালারবাজারে হাট বসে। হাটবারে সাধারণের তুলনায় বেশি দোকানি আর পণ্যের দেখা মেলে এই বাজারে। অনেকেই দূরের শহর থেকে এখানে আসেন লোকাল পণ্য কেনার জন্য। এছাড়াও বাজারে থাকে নানা ধরনের মুখরোচক খাবারের পশরাও। স্থানীয় কারিগরদের হাতে তৈরি মোগোলাই, সিঙ্গারা, ছোলা বা মিষ্টির স্বাদও যেন এই বাজারে অন্যরকম।
মাত্র একটি দোকান দিয়ে আজ থেকে ৬০ বছর আগে যাত্রা শুরু হয়েছিল এই কালার বাজারের। সময়ের পরিক্রমায় বাজারটি এখন অত্র এলাকার মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ এক অংশে পরিণত হয়েছে। রাত পোহালেই এখানে আসতে হয় হাওর পাড়ের বাসিন্দাদের। সহজ-সরল গ্রামীণ জীবনের ব্যতিব্যস্ততা আর টানাপোড়নের গল্প নিয়ে আজও রোজ বসে কালার বাজার।
আই নিউজ/এইচএ
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’