নিজস্ব প্রতিবেদক, মৌলভীবাজার
আপডেট: ১৮:৩৮, ৮ জুলাই ২০২৪
মৌলভীবাজারের শমশেরনগর রোড হচ্ছে `আজিজুর রহমান রোড`

মৌলভীবাজার পৌরসভার মৌলভীবাজার-শমশেরনগর রোড।পুরোনো ছবি
মৌলভীবাজারের শমশেরনগর রোড হচ্ছে বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমানের নামে। এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক সম্পত্তি বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল সিনিয়র সহকারী সচিব মো. গোলাম জিলানী স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়— সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের মৌলভীবাজার সড়ক বিভাগের মৌলভীবাজার পৌরসভার অন্তর্গত মৌলভীবাজার-শমশেরনগর-চাতলা চেকপোস্ট জেলা মহাড়কের চেইনেজ ০+০০০ কিলোমিটার থেকে ৩+০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত "বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহান সড়ক" নামে নামকরণ করা হয়েছে।
তাঁর ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জামাল উদ্দিন আই নিউজকে জানান, এ বিষয়ে এরিমধ্যে ভিজি প্রেসকে গেজেট আকারে ছাপার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে। আশা করি, শীঘ্রই সেটি করা হবে।
এক নজরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহচর, ৭১’র রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান ২০২০ সালের ১৮ আগস্ট দেহত্যাগ করেন। সুমহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সাক্ষী, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, ৭১'র রনাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা এ জাতির সূর্য সন্তান, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, সাবেক বিরোধীদলীয় হুইপ, সাবেক সংসদ সদস্য, স্বাধীনতা পদকে ভূষিত বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আজিজুর রহমান।
বাঙালির ক্রান্তিকালে,ইতিহাসের বাঁক পরিবর্তনের সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যে জনযুদ্ধ হয়েছিলো, ঠিক সে সময়ে তিনি ঝাপিয়ে পড়েন মুক্তিযুদ্ধে।
জীবনবাজি রেখে তিনি বাঙালির অমূল্য ইতিহাসের ধারক বাহকের ভূমিকা পালন করে গেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে কাজ করেছেন, আর তাই সত্যে অবিচল থেকে জাতিকে ঘোষণা বিতর্কের কলংক থেকে বাঁচিয়েছেন।
আজিজুর রহমান ১৯৭০ সালের প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য, ১৯৮৬ ও ১৯৯১ সালের সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।
আজিজুর রহমানের জন্ম ও বেড়ে ওঠা
আজিজুর রহমান ১৯৪৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজার জেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের গুজারাই গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম আব্দুল ছাত্তার এবং মায়ের নাম মাহমুদা বেগম (কাঞ্চন বিবি)।
তিনি শহরের শ্রীনাথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক, মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং হবিগঞ্জের বৃন্দাবন সরকারি কলেজ থেকে বি.কম. ডিগ্রি অর্জন করেন।
কর্মীবান্ধব এই রাজনীতিবিদ ২০১১ সালের ২০ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ প্রশাসক মনোনীত হোন। ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন।
ছাত্রজীবন থেকে মানুষের অধিকার আদায়ের যে আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিলেন তার ধারাবাহিকতায় স্বাধীকার, স্বাধীনতার আন্দোলন, সামরিক, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তিনি ছিলেন একজন নিবেদিত প্রাণ যোদ্ধা।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ পাকবাহিনী তাঁকে গ্রেফতার করে এবং তাঁর ওপর চালায় নির্মম নির্যাতন। মুক্তিযোদ্ধারা সিলেট কারাগার থেকে জেল ভেঙে তাঁকে বের করে নিয়ে আসেন।
২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। মৃত্যুকালীন সময় পর্যন্ত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং দেশের সর্বোচ্চ রাস্ট্রীয় বেসামরিক স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান।
আই নিউজ/এইচএ
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’