Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বুধবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৯ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক, মৌলভীবাজার

প্রকাশিত: ১৬:৫৯, ২৫ জুলাই ২০২৪
আপডেট: ১৯:০৯, ২৫ জুলাই ২০২৪

বর্ষায় ভ্রমণে আকর্ষণীয় স্পট মৌলভীবাজারের কাশিমপুর পাম্প হাউজ 

অথৈ জলরাশিতে ঘেরা সৌন্দর্যের আঁধার কাশিমপুর। ছবি- আই নিউজ

অথৈ জলরাশিতে ঘেরা সৌন্দর্যের আঁধার কাশিমপুর। ছবি- আই নিউজ

কাশিমপুর, বিস্তীর্ণ হাওর আর জলরাশি ঘেরা প্রকৃতির মাঝে জেগে থাকা এক ছোট্ট গ্রামীণ এলাকা। এরিমধ্যে মৌলভীবাজার জেলার একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেও বেশ পরিচিতি পেয়েছে এই এলাকার সেচ প্রকল্প কাশিমপুর পাম্প হাউজ। বন্যা নিয়ন্ত্রণ নিস্কাশন ও সেচ ব্যবস্থা প্রদানের লক্ষে গড়ে ওঠা এই কাশিমপুর পাম্প হাউজ বর্তমানে অনিন্দ্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগেরও একটি জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামে কাউয়াদিঘীর হাওরকে ঘিরে নির্মিত একটি সেচ প্রকল্প কাশিমপুর পাম্প হাউজ। এর অবস্থান একেবারে প্রাকৃতিক মনোরমতার মাঝখানে। একদিকে রুপোলি জলরাশি আরেকদিকে ঘাসে বোনা বিস্তীর্ণ সবুজ পাড়, গাছ গাছালি। হাওরের রূপ-সুধা-গন্ধ যেন এখানে এলে পাওয়া যায় খুব কাছ থেকে। 

কাশিমপুর পাম্প হাউজটির যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৫-১৯৭৬ সালে। রাজনগর উপজেলার মোট জনসংখ্যার গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ কাউয়াদিঘী হাওরের উপর নির্ভরশীল। এই হাওরকে ঘিরেই আবর্তিত হয় উপজেলায় লাখেরও বেশি মানুষের জীবন ব্যবস্থা। যাদের অধিকাংশই কৃষক। ১৯৭৫ সালে মনু সেচ প্রকল্পের অধীনে কাউয়াদীঘি হাওরের ১৯ হাজার ২শ ২৮ হেক্টর চাষযোগ্য জমির বন্যা নিয়ন্ত্রণ নিস্কাশন ও সেচ ব্যবস্থা প্রদানের লক্ষে এই পাম্পটি নির্মাণ করা হয়। যদিও পাম্পের ৮টি মেশিনের প্রায় ৬টি অচল হওয়াতে সরকার ২০১৬ সালে ৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে পাম্পটির নতুন করে কাজ শুরু করে। 

কাশিমপুর পাম্প হাউজ এখনো এই অঞ্চলের কৃষি ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। উপজেলার আব্দুল্লাহপুর, ফাজিলপুর, বল্লভপুরসহ নানা গ্রামের মানুষের কৃষিকাজে সহায়তা করে যাচ্ছে এই পাম্প। 

বর্তমানে কাশিমপুর পাম্প হাউজটি নতুন করে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে। জেলা সদরসহ আশেপাশের জেলা থেকেও এখন পর্যটক আসেন কাশিমপুর পাম্প হাউজ এলাকা ঘুরে দেখতে। হাওরের অগাধ পানি, গ্রামীণ গৃহস্থালী  ছিমছাম পরিবেশে একটু স্বস্থির হাওয়াবদল করতে আসেন অনেকেই। ফলে, পর্যটন মৌসুমে কাশিমপুর সাধারণের তুলনায় বেশিই সরগরম থাকে এই এলাকা। 

বর্ষাকালে কাশিমপুর পাম্প হাউজ এলাকা থাকে অথৈ পানিতে ভরা। এসময় যেদিকে তাকানো যায় সেদিকেই দেখা মিলে অপার জলরাশির। জলের উপরে হাসেদের দলবেধে চলার দৃশ্য মুগ্ধ করে সৌন্দর্যপিয়াসীদের। গোধূলির সময় কাশিমপুর পাম্প হাউজ যেন নৈসর্গিক আবহে ঢেকে যায়। লোকালয় থেমে গেলে, কাশিমপুর পাম্প হাউজে জেগে থাকে শুধু পানি আর বাতাসের কলতান। 

আই নিউজ/এইচএ 

আরও পড়ুন
Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়