নিজস্ব প্রতিবেদক, মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজারে নদ-নদীর ৪ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপরে
মনু নদীর চাঁদনীঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। ছবি- হেলাল আহমেদ
মৌলভীবাজার জেলার নদ-নদীগুলোর অন্তত চারটি পয়েন্টে নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিগত কয়েকদিন ধরে চলা টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলের কারণে অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে মনু, ধলাই, জুড়ী, কুশিয়ারা নদীসহ হাওরের পানি। বিভিন্ন জায়গায় এরিমধ্যে নদী ও হাওয়রের উপচে পড়া পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। দুর্ভোগে পরেছেন কয়েক হাজার মানুষ।
বুধবার (২১ আগস্ট) সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড জেলার নদ-নদীর পানির সর্বশেষ অবস্থা জানায়। পাউবো জানায়, জেলার মনু নদীর রেলওয়ে ব্রীজ পয়েন্টসহ, চাঁদনীঘাট পয়েন্ট, ধলাই নদীর রেলওয়ে ব্রীজ পয়েন্ট, জুড়ী নদীর ভবানীপুর পয়েন্ট দিয়ে পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শুধুমাত্র কুশিয়ারা নদীতে পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য মতে, বুধবার সকাল ৯টায় মনু নদীর রেলওয়ে ব্রীজ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৯৫ সে.মি, উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মনু নদীর চাঁদনীঘাট পয়েন্ট পানি বিপদসীমার ৬৫ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধলাই নদীর রেলওয়ে ব্রীজ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৪৬ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর শেরপুর পয়েন্ট দিয়ে পানি বিপদসীমার ২ সে.মি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং জুড়ী নদীর ভবানীপুর পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১৬৯ সে.মি, উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে নদনদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপচে পড়া পানি প্রবল স্রোতে প্রবেশ করছে লোকালয়ে। জেলার কয়েকটি জায়গায় নদী প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে জনপদে পানি প্রবেশ করায় দুর্ভোগে পড়েছেন হাজারো বাসিন্দা। কুলাউড়া, কমলগঞ্জ, জুড়ীসহ নানা জায়গায় বিপর্যস্ত অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। লাউয়াছড়ার পাহাড়ি এলাকায় টিলা ধ্বসের কারণেও দুর্ভোগের খবর পাওয়া গেছে।
কমলগঞ্জে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ধলাই নদীর পানি বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা গেছে। উপজেলার ইসলামপুর, আদমপুর, মাধবপুর, কমলগঞ্জ, শমসেরনগর, রহিমপুর, পতনঊষার ইউনিয়নের প্রায় ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে বেশিরভাগ সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার রায় বলেন, ‘বন্যার পানিতে উপজেলা প্রায় ১ হাজার হেক্টর আমন ও আউশ ধানের ফসলী জমি প্লাবিত হয়েছে। পানি বাড়ার ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান আরও বাড়তে পারে।’
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল বলেন, ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৪টি স্থান দিয়ে বাঁধ উপছে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। ওই স্থানগুলো যেকোনো মুহুর্তে ভেঙে যেতে পারে। এখনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
আই নিউজ/এইচএ
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’