Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, মঙ্গলবার   ২২ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৯ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক, মৌলভীবাজার

প্রকাশিত: ১১:৪৯, ২২ আগস্ট ২০২৪

মৌলভীবাজারের বন্যা নিয়ে যা জানাচ্ছে প্রশাসন 

পানির প্রবল স্রোতে মনু ব্যারেজের সবগুলো গেট খোলে দেওয়া হয়েছে।

পানির প্রবল স্রোতে মনু ব্যারেজের সবগুলো গেট খোলে দেওয়া হয়েছে।

ভারী ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে মৌলভীবাজার জেলা আবারও জলমগ্ন বন্যার পানিতে। বিপর্যস্ত জেলার লাখেরও বেশি মানুষের জনজীবন। সবশেষ খবরেও জানা গেছে, মৌলভীবাজারের সব নদ-নদীতে পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার থেকে ধারাবাহিকভাবে তথ্য জানাচ্ছে বিভিন্ন প্রশাসনও।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকালে মৌলভীবাজারের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সবশেষ খবর জানিয়ে একটি পরিপত্র প্রকাশ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখা। এতে মৌলভীবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতি ও বন্যার্তদের সহায়তায় নেওয়া নানা কার্যক্রম সম্পর্কে জানানো হয়। 

এতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায়ও মৌলভীবাজারে মনু নদীর পানি বিপদসীমার ১০৮ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মনু নদী ছাড়াও জেলার ধলাই, জুড়ী এবং কুশিয়ারা নদীতেও পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমার উপর দিয়ে। জেলায় সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতিতে এ পর্যন্ত ১ লক্ষ ২২ হাজার ৬৮৭ জন মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন বলে জানানো হয়। এরমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন আনুমানিক ৪ হাজার ৩২৫ জন। 

বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ত্বরিতগতিতে জরুরি সভা ডেকে মৌলভীবাজারে খোলা হয়েছে ১৬টি আশ্রয়কেন্দ্র। একইসঙ্গে বন্যার্ত মানুষদের মাঝে বিতরণের জন্য ২০ লক্ষ ৫০ হাজার নগদ টাকা এবং ২৮৫ মেট্রিক টন চাল জিআর খাত থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। 

এর আগে বুধবার (২১ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এক জরুরি সভায় বসে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি। সভায় জেলার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মী, স্বেচ্ছাসেবকসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। 

এদিকে, মৌলভীবাজার জেলায় বৃষ্টিপাত এখনো অব্যাহত রয়েছে। ফলে পানি হু হু করে বাড়ছে। কাটছে না দুশ্চিন্তাও। ইতিমধ্যে মনু নদীর ৫টি ও ধলাই নদীর ৮টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙা স্থান দিয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহনেওয়াজ সিরাজী বলেন, বন্যার পানিতে ১৬৫০টি পুকুর ও দিঘী থেকে ২১০ মেট্রিক টন মাছ ভেসে গেছে। এতে প্রায় ৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

মৌলভীবাজার সদর শহরকে রক্ষার জন্য শহরের সেন্ট্রাল রোড এলাকায় জিও ব্যাগ ভরাট কাজ চলমান আছে। সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম ও মৌলভীবাজার এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বিএম আব্দুল মোমিন পর্যবেক্ষণ করছেন। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের সবগুলো নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আই নিউজ/এইচএ 

Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়