Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, মঙ্গলবার   ২২ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৯ ১৪৩২

হেলাল আহমেদ, আই নিউজ

প্রকাশিত: ১৫:৩৩, ২৫ আগস্ট ২০২৪
আপডেট: ১১:১২, ২৬ আগস্ট ২০২৪

মৌলভীবাজারে বন্যায় ভেসে গেছে ৩ হাজার পুকুর, ক্ষতি ১৯ কোটি টাকা

চলমান বন্যায় ভেসে গেছে ৩ হাজারের বেশি পুকর ও জলাশয়।

চলমান বন্যায় ভেসে গেছে ৩ হাজারের বেশি পুকর ও জলাশয়।

মৌলভীবাজার জেলায় চলমান বন্যায় ভেসে গেছে ৩ হাজারের বেশি পুকর ও জলাশয়। এতে করে বন্যার পানির সাথে ভেসে গেছে ৭১ লক্ষ টাকার পোনা মাছ। সবমিলিয়ে জেলার ৭ উপজেলা মিলিয়ে মৎসখাতে ক্ষতি হয়েছে ১৯ কোটি টাকার।

রোববার (২৫ আগস্ট) মৌলভীবাজার জেলা মৎস কর্মকর্তা শাহনেওয়াজ সিরাজী আই নিউজকে এই তথ্য জানান।

মৌলভীবাজার জেলা মৎস কর্মকর্তার সাথে আলাপ করে জানা যায়, চলতি বন্যায় জেলা জুড়ে ২৬৬ হেক্টর পরিমাণ পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বানের পানিতে। পানি উপচে বন্যার পানির সঙ্গে ভেসে গেছে পুকুর, জলাশয়ের প্রায় ১৫৩৫ মেট্রিক টন মাছ। ভেসে গেছে ৩ হাজার ১টি পুকুর। আর এতে করে জেলায় মৎস খাতে ক্ষতি হয়েছে ১৯ কোটি টাকার বেশি।

ক্ষতিগ্রস্ত মাছ চাষীদের সহযোগিতার জন্য সরকারিভাবে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কি-না জিজ্ঞেস করলে জেলা মৎস কর্মকর্তা শাহনেওয়াজ সিরাজী বলেন, আমরা বন্যার প্রথম দিন থেকে ক্ষতিগ্রস্ত মাছের খামারের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তোলে ধরার চেষ্টা করছি। যেন মৎস খাতের ক্ষতিগ্রস্তরা সরকারিভাবে সহায়তা পান। তবে, এখনো আমাদের কাছে এ ব্যাপারে কোনো সহায়তা পাঠানো হয়নি। পাঠালে তা ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে।

এদিকে, উন্নতি ঘটছে মৌলভীবাজারের বন্যা পরিস্থিতির। নতুন করে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কমছে নদ-নদীর পানিও। পানি উন্নয়ন বোর্ড আশা করছে রোববার সন্ধ্যার মধ্যেই মৌলভীবাজারের মনু নদীর পানি বিপদসীমার নিচে নেমে আসবে।

রোববার (২৫ আগস্ট) সকালে মনু নদীতে আজকের পানি প্রবাহের তথ্যে দেখা যায়, বর্তমানে মনু নদীতে বিপদসীমার মাত্র ১৭  সে.মি উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায়ও নদীতে পানি প্রবাহিত হয়েছে বিপদসীমার ৬০ সে.মি উপর দিয়ে। রাতের ব্যবধানে অনেকখানি কমে গেছে পানি। এই ধারা অব্যাহত থাকলে রোববার সন্ধ্যার মধ্যেই পানি নেমে আসতে পারে বিপদসীমার নিচে।

এদিকে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, মৌলভীবাজার জেলায় বন্যায় এ পর্যন্ত প্লাবিত হয়েছে জেলার ৮২১ বর্গকিলোমিটার এলাকা। আর বন্যা কবলিত মানুষের সংখ্যা ২ লাখ ৫০ হাজার ৮৬৪ জন। জেলায় বন্যা কবলিতদের জন্য ১০২টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু আছে। এতে আশ্রয় নিয়েছেন ১০ হাজার ৬৮৭ জন মানুষ। এ পর্যন্ত বন্যা দুর্গতদের মাঝে সরকারিভাবে বিতরণ করা হয়েছে ৭২৬ মেট্রিক টন চাল।

জেলা সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উপর প্রশাসন সজাগ দৃষ্টি রাখছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

আই নিউজ/এইচএ

Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়