সালাহউদ্দিন শুভ, মৌলভীবাজার
শ্রীমঙ্গলে অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবীতে আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ
ছবি- আই নিউজ
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের দ্বারিকাপাল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ মনসুরুল হক-কে অধ্যক্ষের পদ থেকে অপসারণের দাবীতে প্রায় ২ ঘন্টা ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনী এসে শিক্ষার্থীদের বুঝালে সড়ক ছেড়ে দেন শিক্ষার্থীরা।
যদিও অধ্যক্ষ সৈয়দ মনসুরুল হক বলেন, আমার বিরুদ্ধে যারা আন্দোলন করছেন তারা ছাত্র না। তারা টুকাই। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার পরায়ন হয়ে আমার বিরুদ্ধে এসব হচ্ছে। তারা চাচ্ছে আমাকে জোরপূর্বক অপসারণ করতে।
রোববার (সোমবার) বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের চৌমুহনা চত্ত্বরে অবস্থান নেন। অধ্যক্ষের পদ থেকে পদত্যাগ করার আহবান করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এসময় ঢাকা সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রায় ৫ শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনী এসে শিক্ষার্থীদের বুঝালে সড়ক ছেড়ে দেন শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা যখন সারাদেশের শিক্ষার্থীরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এক দফা দাবীতে আন্দোলন করি, ঠিক সেই মুহুত্বে দ্বারিকা পাল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ মনসুরুল হক আওয়ামীলীগের লোকজন নিয়ে ৪ আগস্ট শ্রীমঙ্গল চৌমুহনায় শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নেন। সেদিন যদি কোন শিক্ষার্থী চৌমুহনায় আসতো তাহলে সেও রক্তাক্ত হতো। যে শিক্ষক ছাত্রদের পাশে না থেকে ছাত্রদের বিপক্ষে যায় সেই শিক্ষক এখনো কিভাবে বহাল তবিয়তে রাজত্ব করছে। আমরা এধরনের স্বৈরাচারী শিক্ষকদের অপসারণ চাই।’
আন্দোলনে অংশ নেন শ্রীমঙ্গল পৌরসভার কাউন্সিলর আব্দুল জব্বার। তিনি বলেন, ‘অনেক ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচার সরকারের পতন হয়েছে। কিন্তু এখনো আওয়ামীলীগের দুসররা বিভিন্ন জায়গায় রয়ে গেছে। ছাত্রদের আন্দোলন দমন করতে সৈয়দ মনসুরুল হক তার দলের লোকজন নিয়ে ছাত্রদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন।’
সাধারণ ছাত্রজনতা এর আগে দুই দফায় অধ্যক্ষ মনসুরুল হকের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়ে পদত্যাগ দাবী করেন। তারপরও তিনি পদত্যাগ না করায় রবিবার সকালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রথমে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ঘেরাও করেন, পরে তারা সড়কে অবস্থান করে সড়ক অবরোধ করেন।
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ সৈয়দ মনসুরুল হক বলেন, ‘আমার কলেজের কোন শিক্ষার্থী আমার অপসারণ চায়নি। বাইরের কিছু লোকজন উদ্দেশ্যমূলক ভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেড়ে আজকে এই অবরোধ করছে। এখানে কয়েকজন ছাত্র থাকতে পারে তবে বেশিরভাগই ছাত্র নয়। কিছুদিন আগে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আমার নামে ছাত্ররা একটি স্মারকলিপী দেয়। তারপর আমার কলেজের শিক্ষার্থীরা সেটির বিরুদ্ধে আরেকটি স্মারক লিপি জমা দেয়। আমার কলেজের কোনো শিক্ষার্থীরা আমার অপসারণ চায় না। যারা চেয়েছে তারা ২-১জন ছাত্র হলেও বাকিরা টুকাই।
তিনি বলেন, তবে যারাই আমার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে তারা কোনো বৈষম্য বিরোধী ছাত্র না। এরা টুকাই। বাইরের কিছু লোকজন উদ্যোশ্য ভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার পরায়ন হয়ে আমার বিরুদ্ধে ২-১ছাত্র ও টুকাইদের আমার পিছনে লেলিয়ে দিয়েছে স্থানীয় একজন কাউন্সিলর।’
শ্রীমঙ্গলের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবু তালেব জানান, ‘আমার কাছে শিক্ষার্থীরা দুই দফায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। আমি সেই অভিযোগগুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌছে দিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও আমি শিক্ষার্থীদের জানিয়েছি।’
আই নিউজ/এইচএ
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’