Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৮ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক, মৌলভীবাজার

প্রকাশিত: ১৪:৫৬, ৬ অক্টোবর ২০২৪
আপডেট: ১৪:৫৯, ৬ অক্টোবর ২০২৪

মৌলভীবাজারে পুলিশি ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স।

চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স।

মৌলভীবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের উদ্যোগে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শনিবার (০৫ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সম্মেলন কক্ষে এই কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মো. কায়সার মোশাররফ ইউসুফ।

কনফারেন্সে এদিন উপস্থিত ছিলেন- নবাগত পুলিশ সুপার এম. কে. এইচ জাহাঙ্গীর আলম, সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বুলবুল আহমেদ, সহকারী বন সংরক্ষক মোহাম্মদ নাজমুল আলম, সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মোল্লা মুনির হোসেন, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান শরীফ, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জগলুল হক, মোহাম্মদ ইরফানুল হক চৌধুরী, এম. মিজবাহ উর রহমান, মোহাম্মদ জিয়াউল হক, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জনাব ইসমাইল হোসাইন ও জনাব মো. ছিদ্দিক আজাদ, বিজিবির সহকারী পরিচালক জামাল হোছাইন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জয়নুল হক, কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক, ইন্সপেক্টর, ইন্সপেক্টর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর এবং জেলার বিভিন্ন থানা ও গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জগণ।

কনফারেন্সের শুরুতে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জগলুল হক স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি কনফারেন্সে স্বাগত বক্তব্যে মৌলভীবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মামলার বিবরণ ও বিভিন্ন থানার মূলতবী পরোয়ানার বিবরণ তুলে ধরেন।

সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জনাব এম. মিজবাহ উর রহমান স্লাইড শো-র মাধ্যমে এজহার দায়ের ও মামলার তদন্ত কার্যক্রমের ত্রুটিসমূহ তুলে ধরেন। এবং এসব ত্রুটি নিরসনে বিভিন্ন বিষয়ে আইনের বিধি সমূহ আলোচনা করেন।

অনেক মামলায় দীর্ঘদিন যাবত তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল না করায় ম্যাজিস্ট্রেটগণসহ আগত বক্তারা কনফারেন্সে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

অপরদিকে, পুলিশ সুপার এম. কে. এইচ জাহাঙ্গীর আলম তাঁর বক্তব্যে দীর্ঘদিন যাবত তদন্তাধীন থাকা মামলাসমূহের গুরুত্বের সাথে দ্রত তদন্ত কার্য সমাপ্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের এবং পারিবারিক মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানা ও লেভি ওয়ারেন্টসহ সকল পরোয়ানা দ্রুততার সাথে তামিলের জন্য থানার অফিসার ইন-চার্জদেরকে নির্দেশনা প্রদান করেন।

সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ তাঁর বক্তব্যে মূলতবীকৃত মেডিকেল সার্টিফিকেট, পোর্স্ট মোর্টেম
ও ভিসেরা রিপোর্ট এবং ধর্ষণ সংক্রান্ত পরীক্ষা রির্পোট দ্রুত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ কিংবা আদালতে দাখিলের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বুলবুল আহমেদ তাঁর বক্তব্যে বিচার প্রার্থী জনগনের ন্যায় বিচারের স্বার্থে বিচার বিভাগের কার্যক্রমে সর্বাত্মক সহযোগীতার আশ্বাস দেন।

জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জয়নুল হক তাঁর বক্তব্যে আদালতে আগত সাক্ষী ও বিচারপ্রার্থী জনগণের নিরাপত্তা বিধানসহ আদালত প্রাঙ্গণের সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

কনফারেন্সে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মো. কায়সার মোশারফ ইউসুফ পুলিশ বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ, জেলা আইনজীবী সমিতিসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিভাগের ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং জেলার বিভিন্ন থানায় তদন্তাধীন থাকা মামলার তদন্ত কার্য দ্রুততা ও দক্ষতার সাথে আইনের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করে আদালতে প্রতিবেদন প্রেরণ, যথাসময়ে মামলার সাক্ষী উপস্থাপন নিশ্চিত করত: তাদের নিরাপত্তা বিধান, গ্রেফতারের পর আইনের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আদালতে সোপর্দ করার, পরোয়ানা জারির ক্ষেত্রে আরও তৎপর হওয়ার, নিষ্পত্তির নিমিত্তে পি.আরমূলে জব্দ থানা মালখানায় থাকা আলামতের তালিকা তৈরি করে আদালতে প্রেরণ ও মৌলভীবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন মামলাসমূহের সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য বিচারক ও থানার অফিসার ইন-চার্জসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে বিভিন্ন ধরনের দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

কনফারেন্সে বিভিন্ন থানা থেকে আগত থানার অফিসার ইন-চার্জসহ অন্যান্য উপস্থিতি কর্র্তৃক উত্থাপিত বিভিন্ন সমস্যার আইনি সমাধান, প্রশ্নোত্তর প্রদান এবং পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণ করত: সমাপনী বক্তব্যে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট জনাব সৈয়দ মো. কায়সার মোশাররফ ইউসুফ বলেন যে, ফৌজদারী বিচার ব্যবস্থায় বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ, পুলিশ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ একে অপরের পরিপূরক। মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধি ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আন্তরিকতা ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগকে একযোগে ব্যক্তি স্বার্থের উর্ধ্বে উঠে বিচার প্রার্থী মানুষের কল্যাণে নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে হবে। এক্ষেত্রে কারও অবহেলা কাম্য নয়। 

সামনের দিনগুলোতে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর পারষ্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে ফৌজদারী বিচার ব্যবস্থায় আরো গতিশীলতা আসবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করে আগত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে করে কনফারেন্সের সমাপ্তি ঘোষণা করেন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মো. কায়সার মোশাররফ ইউসুফ। 

আই নিউজ/এইচএ 

Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়