বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
বড়লেখা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জুয়েল রিমান্ডে
বড়লেখা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা ছালেহ আহমদ জুয়েল।
বড়লেখা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগ নেতা ছালেহ আহমদ জুয়েলকে ১ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। মৌলভীবাজারের বড়লেখায় এক ব্যাংক কর্মকর্তার করা মামলার দুই নম্বর আসামি জুয়েল।
গতকাল বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জিয়াউল হক এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বুধবার রাতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বড়লেখা থানার এসআই আব্দুর রউফ রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বড়লেখা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগ নেতা ছালেহ আহমদ জুয়েলকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেন। বুধবার রিমান্ড শুনানির জন্য ধার্য তারিখ ছিল। ধার্য তারিখে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জিয়াউল হক তার ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সৌদি আরব যাওয়ার সময় গত ২৯ আগস্ট সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বড়লেখা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা ছালেহ আহমদ জুয়েল ও জালাল আহমদকে ইমিগ্রেশন পুলিশ আটক করে বিমানবন্দর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। ওইদিন রাতেই তাদের বড়লেখা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরদিন তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৩ সালে ৩০ নভেম্বর ইসলামী ব্যাংক বিয়ানীবাজার পিএলসি শাখার অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল মালিক, অফিসার হাফিজ আহমদ, আব্দুল মুকিত ও মাহবুব আহমদ খানকে সাথে নিয়ে বড়লেখা থানা এলাকায় ব্যাংকের নিয়মিত কাজে আসেন। তারা ব্যাংকের দুইটি মোটরসাইকেল যোগে বড়লেখা বাজারসহ বিভিন্ন গ্রাম হতে খেলাপি বিনিয়োগ ১ লাখ ৬৫,০০০/- টাকা আদায়ের পর ইসলামী ব্যাংক বড়লেখা শাখায় জমা দেওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। দুপুর অনুমান সাড়ে ১২ ঘটিকায় ইসলামী ব্যাংক বড়লেখা শাখা সংলগ্ন হ্যাপি কমপ্লেক্সের সম্মুখে পৌঁছলে এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ি ‘ঐ যে জামায়াতের লোক। এদেরকে (খারাপ ভাষায় গালি দিয়ে) মার মার’ বলে দা, লোহার রড, হকিস্টিক, ছুরি, কিরিচ, চাপাতি ইত্যাদি নিয়ে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। হামলায় ব্যাংক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল মালিক, হাফিজ আহমদ, আব্দুল মুকিত, অধ্যক্ষ মাওলানা ফয়জুর রহমান প্রমুখ গুরুতর আহত হন। এসময় বিবাদীরা ব্যাংক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল মালিকের প্যান্টের পকেটে থাকা আদায়কৃত খেলাপি বিনিয়োগের ১,৬৫,০০০/ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেল ভাঙচুর করে পেট্টল ঢেলে পুড়িয়ে দেয়। আসামিরা ব্যাংক কর্মকর্তাদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে মৃত ভেবে রাস্তায় ফেলে যায়।
এ ঘটনার প্রায় ১১ বছর পর গত ৮ সেপ্টেম্বর রাতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ২০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা করেন ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড বিয়ানীবাজার শাখার অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল মালিক। মামলায় ৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন- যুবলীগ নেতা মুমিনুল হক টনি, সালেহ আহমদ জুয়েল, কবির আহমদ, ইসলাম উদ্দিন, আলী হোসেন, হারুনুর রশিদ বাদশা, তাজ উদ্দিন, আসাদুজ্জামান আসাদ, আবজাল হোসেন আওয়াল, সাহেদ আহমদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ফরহাদ আহমদ, শামীম আহমদ কালা, আওয়ামী লীগ নেতা ইয়াছিন আলী, এনাম উদ্দিন, শামীম উদ্দিন, জিল্লুর রহমান, কামরুল ইসলাম, শ্রমিকলীগ নেতা সুমন আহমদ, কামাল আহমদ, অজিত দাস।
আই নিউজ/এইচএ
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’