Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, রোববার   ২০ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৬ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক, মৌলভীবাজার

প্রকাশিত: ১১:৩৮, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

মৌলভীবাজারে আমন ধান কাটা শুরু, ব্যস্ত কৃষকরা 

ধান কাটা মেশিন দিয়ে ধান কাটার দৃশ্য। পুরোনো ছবি

ধান কাটা মেশিন দিয়ে ধান কাটার দৃশ্য। পুরোনো ছবি

মৌলভীবাজার শুরু হয়েছে আমন মৌসুমের ধান কাটা। কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন পাকা ধান কেটে ঘরে তোলার কাজে। কেউ শ্রমিক দিয়ে ধান কাটাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ ধান কাটার অত্যাধুনিক মেশিন দিয়ে ধান কেটে ঘরে তুলছেন। তবে আশানুরূপ ফসল না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন অনেক কৃষক। এবছর অতিবৃষ্টি আর বন্যার কারণে সদরের অনেক জায়গার আমন ধানের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।               

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, এবার সারা জেলায় আমনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ১ হাজার হেক্টর। চাষাবাদ হয়েছে প্রায় ৯৮ হাজার হেক্টর। এরমধ্যে অনেক জমিনের ফসল নষ্ট হয়েছে বন্যার সময়। কিছু জমিনে পুনরায় ধানের চারাগাছ রোপণ করা হলেও বেশিরভাগেই আর চারা লাগানো হয়নি। 

সরেজমিনে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) মৌলভীবাজার সদরের বরমান, ইসলামপুর, দশহাল, বানগাও, কুইশার এলাকা ঘুরে দেখা যায় স্থানীয় কৃষকদের ধান কাটার ব্যস্ততা। ধান পেকে যাওয়ায় পুরোদমে শুরু হয়েছে ধান কাটা। কোথাও কোথাও আধুনিক ধান কাটা মেশিন দিয়ে চলছে ধান কাটা।

মাঠে বেশিরভাগ জমিনের ধানই পেকে হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। দূর থেকে যেদিক চোখ যায় শুধুই হলুদ পাকা ধান। তবে কাছে গেলে দেখা মিলে ভিন্ন চিত্রের। কৃষকরা বলছেন, এবছর আমন মৌসুনে আশানুরূপ ফলন পাননি তাঁরা। 

মুজিবুর রহমান নামের এক বর্গাচাষী বলেন, আমি অন্যের জমিনে ধান চাষ করি। আগের বছর যেই জমিন থেকে ১৫ বস্তা ধান পেয়েছি এবছর সেই জমিনে ধান হয়েছে মাত্র ৭-৮ বস্তা। এরমধ্যে আবার সব ধান পরিপুষ্টও নয়। কীটনাশক ব্যবহার করলেও অতিবৃষ্টির কারণে তা কোনো কাজে আসেনি। উপরন্তু, খরচই বেড়েছে বেশি। 

জাকির আলী বরমান এলাকার বড় মাপের কৃষকদের মধ্যে একজন। তিনি প্রতি আমন মৌসুমে ৭ থেকে ৮শ মন ধান উৎপাদন করেন। এরমধ্যে কিছু ধান ভৈরবের ধানের বাজারে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করেন। কিছু অংশ সরকারি বীজঘরে বিক্রি করেন। তিনিও এবছর আশানুরূপ ফলন না হবার কথা জানান। 

জাকির আলী বলেন, প্রত্যেক বিঘা জমিতে ধান উৎপাদন করতে গিয়ে যে পরিমাণ খরচ হয়েছে সে পরিমাণ ফলন হয়নি। ধানে চিটা পড়ে, অতিবৃষ্টির কারণে ধানের উৎপাদন খারাপ হয়েছে আগেরবারের চেয়ে। দূর থেকে ধানের ফলন ভালো দেখা গেলেও কাছে আসলেই দেখা যায় আসল চিত্র। তাছাড়া, দাওয়াল খরচ, মেশিন খরচ সব মিলিয়ে ধান উৎপাদন থেকে যা আসে তা দিয়ে পোষানো যায় না। 

কৃষি বিভাগ বলছে, বন্যা–পরবর্তী সময়ে কৃষকের পক্ষে নতুনভাবে বীজতলা তৈরিসহ আবার রোপণ কঠিন হয়ে পড়ে। এরপরও অনেক কৃষক আমনের চারা সংগ্রহ করে রোপণ করেছেন। এতে কৃষকদের বাড়তি টাকা খরচ হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কৃষকেরা দেরিতে চাষে কতটুকু ফসল হবেন, তা বিবেচনা করেননি।           

আই নিউজ/এইচএ                                                                               

Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়