মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
আপডেট: ২২:৪৬, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত জনগণ প্রতিহত করবে: আরিফুল হক চৌধুরী

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, ‘সংস্কারের কথা বলে আর কালক্ষেপণ করবেন না৷ প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে অনতিবিলম্বে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করে দেশের জনগনকে আশ্বস্ত করুন।’
আমরা সুস্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, বিএনপি থেকে এরই মধ্যে পরিষ্কার বলে দেয়া হয়েছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে কোন নির্বাচন নয়। আগামী নির্বাচনে যে সরকার ক্ষমতায় যাবে সেই সরকার স্থানীয় নির্বাচন করবে। প্রশাসনের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন- এখনো ফ্যাসিস্ট সরকারের অনেক আমলারা সিভিল প্রশাসনে, পুলিশ প্রশাসনে বহাল রয়েছে। আমরা কিন্তু তাদের অতীতের কুকর্মের কথা ভুলি নাই। জায়গা পরিবর্তন করে এক জেলা থেকে আরেক জেলায় তারা আসলেও এক উপজেলা থেকে আরেক উপজেলায় গেলেও আমরা কিন্তু আমাদের নেতাকর্মীদের মাধ্যমে এসব আমলাদের তখনকার আমলের চেহারা আমাদের রেকর্ডে সংগ্রহে আছে। আমরা চাই, এই ফ্যাসিস্ট সরকারের দালাল সকল আমলাদের যেন এই সরকার আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করে কাঠগড়ায় দাঁড় করান। -আরিফুল হক চৌধুরী
তিনি বলেন, ‘বিএনপি সর্বোতভাবে এ সরকারকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। আর ষড়যন্ত্রমূলক অন্য কোন রাজনৈতিক ফায়দা দেশি-বিদেশি চক্রান্তে যদি কোন কিছুর মতলব থাকে তাহলে এদেশের জনগণ বুকের তাজা রক্ত দিয়ে যে-ভাবে এই ৫ ই আগস্ট দেশ নতুন করে স্বাধীন করেছিল সেভাবেই সকল ষড়যন্ত্র নসাৎ করার ক্ষমতা এদেশের জনগণের আছে।’
তিনি আরও বলেন- ‘আমরা সুস্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, বিএনপি থেকে এরই মধ্যে পরিষ্কার বলে দেয়া হয়েছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে কোন নির্বাচন নয়। আগামী নির্বাচনে যে সরকার ক্ষমতায় যাবে সেই সরকার স্থানীয় নির্বাচন করবে। প্রশাসনের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন- এখনো ফ্যাসিস্ট সরকারের অনেক আমলারা সিভিল প্রশাসনে, পুলিশ প্রশাসনে বহাল রয়েছে। আমরা কিন্তু তাদের অতীতের কুকর্মের কথা ভুলি নাই। জায়গা পরিবর্তন করে এক জেলা থেকে আরেক জেলায় তারা আসলেও এক উপজেলা থেকে আরেক উপজেলায় গেলেও আমরা কিন্তু আমাদের নেতাকর্মীদের মাধ্যমে এসব আমলাদের তখনকার আমলের চেহারা আমাদের রেকর্ডে সংগ্রহে আছে। আমরা চাই, এই ফ্যাসিস্ট সরকারের দালাল সকল আমলাদের যেন এই সরকার আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করে কাঠগড়ায় দাঁড় করান।’
আরিফুল হক চৌধুরী বলেন- ‘এই মৌলভীবাজারে আমি কেন্দ্রের একটি প্রোগ্রামে এসেছিলাম ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে। আমি তখন দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র ছিলাম। এখানে সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমান ছিলেন। আমাদেরকে স্কুলের মাঠের গেইটের সামনে পেটোয়া পুলিশ বাহিনীকে দিয়ে তারা তাদের ফ্যাসিস্ট কায়দায় আমাদের মিছিলের উপর আঘাত করেছে। মুক্ত অবস্থায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দিতে পারিনি। সেদিন আমাদের সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ আহত হয়েছিলেন। আল্লাহর কি বিচার দেখেন, সেই অবস্থা থেকে আজকে আমরা মুক্ত অবস্থায় এখানে বক্তব্য রাখছি। আর ঐ ফ্যাসিস্ট দলের চেনা ৫/৬ জন উনাদের আমি চিনি আপনারাও চেনেন। উনাদের ওপর বিএনপি এখনো প্রতিশোধমূলক কোনো ব্যবস্থায় নেয়নি। আমরা ধিক্কার দেই তাদেরকে আজকে তারা সাধারণ জনগনের সামনে মুক্ত অবস্থায় আসতে পারছে না। এর চাইতে কঠিন শাস্তি আর কি হতে পারে? । জনগণ থেকে তারা আজ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। তাই বলে এই নয়, আপনারা যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দরা আছেন- তাদেরকে বলবো- "আমার খালাতো ভাই, আমার বহুদিনের পরিচিত বন্ধু, এই বলে ফ্যাসিস্টদের সহযোগীতা করার কোন সুযোগ নেই। কারণ তারা তখন ভুলে নাই, তারা আপনার আমার আত্মীয় কুটুম, সেদিন আমাদের কাউকেই তারা ছাড় দেয় নাই। তারা আমাদের এমন কোন নেতাকর্মী নাই তাদের বিরুদ্ধে মামলা মোকদ্দমা থেকে শুরু করে সব কিছু করেছে। কাজেই এব্যাপারে কোনো আপোষ নেই। এবং একই সাথে আমি এও বলবো বিএনপির যে পরীক্ষীত সৈনিক যারা রাজপথে আন্দোলনে ছিল, যাদের রক্ত ঝড়েছে, যারা মামলা খেয়েছে। যারা কারাগারে গিয়েছে। তাদেরকে যেন আপনারা মূল্যায়ন করেন। হঠাৎ শুভ বাতাস বইছে আর হঠাৎ করে জার্সি পরিবর্তন করে বললেন আমার মতো খাঁটি বিএনপি আর কেউ নাই এদের যেন বিএনপির মধ্যে জায়গা না হয়। আমি এও বলতে চাই আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা আমাদের বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনে মিশে যাওয়ার যে পায়তারা করছে এ বিষয়ে সকলে সজাগ দৃষ্টি রাখতে। কোন অবস্থাতেই যাতে আমাদের সংগঠন ঢুকে মানুষের কাছে বিএনপিকে প্রশ্নবিদ্ধ তারা না করতে পারে।’
তিনি বলেন- ‘আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির নেতাকর্মীদের তারেক রহমানের নির্দেশিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে সকলে মাঠে ময়দানে কাজ করতে হবে। দলের ভেতর বিভাজন সৃষ্টি না করা যাবে না। আগামী নির্বাচনে দল যাকে মনোনয়ন দিবে তার জন্য কাজ করতে হবে। জনগণের কাছে প্রমান করতে হবে আপনারা জনগণের কল্যানে কাজ করছেন। তারেক রহমান বার বার বলে দিয়েছেন, বিএনপি কোন নেতাকর্মী যদি কোন গর্হিত অন্যায় কাজে লিপ্ত থাকে এবং জনগনের বিরুদ্ধে অবস্থানে যায় জমি দখল থেকে চাঁদাবাজি টেন্ডার বাজিতে সম্পৃক্ত থাকে দল তাদের কে কোন ভাবেই প্রশ্রয় দেবে না। এবং যারা এই আশ্রয় প্রশ্রয় দিবেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবন্থা নেওয়া হবে। আরিফ বলেন-আপনাদের মনে রাখতে হবে - সতের বছর ফ্যাসিস্ট সরকার জনগনের জান মাল সস্পদ লুন্ঠন করেছে। সেই জায়গায় বিএনপি যদি আগামী সরকারে আসে তাহলে জনগণের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে নিজেদের সম্পদ সৃষ্টি না করে জনগণ কে কিভাবে সহযোগিতা করা যায় ও নিজের এলাকার উন্নয়ন করা যায় সেদিকে মনোযোগী হবেন।’
দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের বিচার, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরনের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা এবং রাস্ট্রে পতিত ফ্যাসিবাদদের দোসরদের নানান চক্রান্তের অপচেষ্টা প্রতিহতের দাবীতে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আয়োজনে মৌলভীবাজার পৌরসভা প্রাঙ্গনে জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা বিএনপির আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়ুনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতা সিদ্দিকী, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য সাবেক এমপি এম নাসের রহমান,আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান চৌধুরী।
জেলা ওলামা দলের সদস্য সচিব কাজী মাওলানা আব্দুর রহিমের পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে সভার কাজ শুরু হয়।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সদস্য আব্দুল ওয়ালী সিদ্দীকি, মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, বকসী মিছবাউর রহমান, সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক বদরুল আলম, যুগ্ম আহবায়ক মারুফ আহমেদ, পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সরোয়ার মজুমদার ইমন, কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক রেদোয়ান খান, বড়লেখা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জয়নাল আবেদীন, জুড়ি উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোস্তাকিম হোসেন বাবুল, শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নুরুল আলম সিদ্দিকী, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক শামীম আহমেদ, কমলগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক অলি আহমদ খান, কমলগঞ্জ পৌর বিএনপির আহবায়ক শোয়েব আহমেদ, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এম এ মোহিত, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক ইসহাক আহমেদ চৌধুরী মামনুন, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহান প্রমূখ।উপস্থিত ছিলেন - জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য এডভোকেট সুনীল কুমার রায়, মুজিবুর রহমান মজনু,জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা শরিফুল হক সাজু,দুরুদ আহমেদ,শ্যামলী সুত্র ধর,কুলাউড়া বিএনপির সিনিয়র সদস্য শওকতুল ইসলাম শকুসহ ছাত্রদল,যুবদল,কৃষকদল,মহিলা দলসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশ শুরুর আগে জেলা সদর সহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিএনপির শত শত নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেয়। এক পর্যায়ে সমাবেশটি জনসমাবেশ পরিণত হয়।
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’