তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন
এনজিও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী কর্মীকে হয়রানির অভিযোগ
প্রতারণার মাধ্যমে চেক ও স্ট্যাম্প হাতিয়ে নিয়ে এক নারী উন্নয়ন কর্মীকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে এনজিও উদ্দীপনের সুনামগঞ্জ জেলার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক (আরএম) প্রণব কান্তি দাসের বিরুদ্ধে।
বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে গত বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারী) সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী নারী প্রিয়া রায়।
লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলা শাখায় এনজিও সংস্থা উদ্দীপনে নারী মাঠ কর্মী হিসেবে ২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর যোগদান করেন প্রিয়া রায়(ছদ্মনাম)। হিসাব বিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করা ওই নারীর চলতি মাসের ৯ ফেব্রুয়ারী মাস্টার্স পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে চাকরি থেকে অব্যাহতি নিতে চান।
অব্যাহতির বিষয়টি উদ্দীপন ধর্মপাশা শাখার ব্যাবস্থপক জাকিয়া সুলতানা ও আঞ্চলিক ব্যাবস্থাপক (আরএম) প্রনব কান্তি দাসকে জানালে তারা ওই নারী কর্মীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়ার বিষয়টি অনীহা প্রকাশ করে। এবং গত ১৩ জানুয়ারি ওই নারী কর্মীকে উদ্দীপন ধর্মপাশা অফিসে জোরপূর্বক আটকে রেখে তার মাকে ফোন দিয়ে অফিসে এনে শাখা ব্যাবস্থাপক জাকিয়া সুলতানা ওই নারী কর্মীর কাছে ৩ লাখ টাকা পায় দাবি করে এবং তার মায়ের কাছ থেকে ব্লাংক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর ও চেক হাতিয়ে নিয়ে ১ সপ্তাহের সময় দিয়ে ৩ লাখ টাকা পরিশোধ করার পর চেক ও স্ট্যাম্প ফিরিয়ে দিবে বলে তাদের বাসায় যেতে দেন।
এমন পরিস্থিতিতে নিরুপায় হয়ে ওই নারী কর্মী বাড়ির জায়গা অন্যত্র বিক্রি করে গত ১৯ জানুয়ারি চেক এর মাধ্যমে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা সহ মোট ৩ লাখ টাকা উদ্দীপন ধর্মপাশা অফিসে জমা দেন। তাদের শর্ত মতে ৩ লক্ষ টাকা পরিশোধ করার পর চেক ও স্টাম্প ফেরত চাইলে তা না দিয়ে ওই নারী কর্মীকে সুনামগঞ্জে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করতে বলেন উদ্দীপনের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক(আরএম) প্রনব কান্তি দাস। দেখা করার বিষয়ে অসম্মতি জানানো হলে ওই নারী কর্মীকে অশালীন গালি দিয়ে চেক ও স্টাম্প ফিরিয়ে দিবে না বলে মামলা দেয়ার হুমকি দেন আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক(আরএম) প্রনব কান্তি দাস।
পরবর্তীতে গত ২৯ জানুয়ারি দুপুরে ধর্মপাশা উপজেলা সদরের উকিল পাড়াস্থ ওই নারী কর্মীর ভাড়া ভাসায় ধর্মপাশা থানার ৭/৮ জন পুলিশ সদস্য সহ উদ্দীপনের শাখা ব্যবস্থাপক বাসার রুমে ঢুকে ওই নারী কর্মীর কাছে আরো টাকা পায় দাবি করে দ্রুত টাকা না দিলে মামলা করার হুমকি দিয়ে আসে ।
হয়রানির শিকার নারী কর্মীর মা মনিকা রায় জানান, আমার মেয়েকে অন্যায়ভাবে অফিসে আটক রেখে আমাকেও খবর দিয়ে নেওয়া হয়। তারপর তারা আমার মেয়ের কাছে ৩ লক্ষ টাকা পায় দাবি করে জোরপূর্বক স্টাম্পে স্বাক্ষর ও চেক বইয়ের পাতা হাতিয়ে নেয়। ৩ লক্ষ টাকা দেয়ার পরেও আমার মেয়েকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে উদ্দীপন ধর্মপাশা শাখার ব্যবস্থাপক জাকিয়া সুলতানা বলেন, ক্রেডিট প্রোগ্রামে চাকরি করায় ওই নারী কর্মীর কাছে গ্রাহকদের ৩ লক্ষ টাকা জমা ছিলো। এজন্য আমরা তার কাছ থেকে চেক ও স্টাম্প রেখেছি, কিন্তু ৩ লক্ষ টাকা আদায় করার পরেও ওই নারী কর্মীর কাছে আমাদের আরো কিছু টাকা পাওনা ছিলো, এ জন্য আমাদের সুনামগঞ্জ আরএম এর নির্দেশে ওই নারী কর্মীর বিরুদ্ধে ধর্মপাশা থানায় জিডি করে রেখেছি।
নারী কর্মীকে হয়রানির বিষয়ে অভিযুক্ত সুনামগঞ্জের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক প্রনব কান্তি দাসের কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমাদের অফিসিয়াল বিষয়, সাংবাদিকদের কেনো জানানো হলো, আমরা ওই নারী কর্মীর কাছে টাকা পাই এ জন্য তার কাছ থেকে চেক ও স্ট্যাম্প নিয়েছি এবং উর্ধবতন কর্মকর্তা (জোনাল ম্যনাজার) এর নির্দেশে তার বিরুদ্ধে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, একজন নারী উন্নয়ন কর্মীকে হয়রানি করার অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি এনজিও বিষয়ক ব্যুরো দপ্তরে প্রেরণ করা সহ আমরা বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
আই নিউজ/এইচএ
আই নিউজ ভিডিও গ্যালারী
নীলাদ্রি লেক আমাদের এক টুকরো কাশ্মীর | পাখির চোখে নীলাদ্রি
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’