Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বুধবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৩ ১৪৩২

জামালগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫:২৫, ২৪ জুন ২০২৩

জামালগঞ্জের মন্নান ঘাটে জমজমাট পশুর হাট

পশুর হাট। ফাইট ছবি

পশুর হাট। ফাইট ছবি

পবিত্র ঈদুল আজহার এখনো বাকি পাঁচ দিন। ঈদকে ঘিরে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার মান্নান ঘাটে জমজমাট হয়ে ওঠেছে কোরবানির পশুর হাট। গত কয়েকবছর ধরেই ঈদের সময় কোরবানির পশুর এই হাটটি বেশ জমজমাটভাবে আয়োজিত হয়ে আসছে। 

মান্নান ঘাটের পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, পর্যাপ্ত পরিমানে গরু বাজারে মজুদ রয়েছে। এবং এসবের বেশিরভাগ গরুই স্থানীয়ভাবে লালিত-পালিত। ঈদের পাঁচ দিন আগে থেকেই বেশ ভালো বেচাবিক্রি চলছে বলে জানিয়েছেন বাজারে পশু নিয় আসা ব্যবসায়ীরা। 

ক্রেতা বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মান্নান ঘাট বাজারে এবছর পশুর দামের ব্যাপারে উভয়েই মোটামুটি খুশী। হাটে বেশীরভাগই দেশীয় জাতের গরু। ছোট, বড়, মাঝারী সাইজের গরু উঠেছে হাটে। 

বিক্রেতারা বলছেন, আমরা গরুকে কোন ধরনের ঔষধ খাওয়াইয়ে মোটা তাজা করিনি। এসব আমরা করি না। যেকারণে এই হাটে গরুর দামও ভালো পাওয়া যায় ক্রেতাও সহজে আসে। 

এদিকে বাজারে ক্রেতা সমাগম ব্যাপক হলেও এখনি পশু কিনছেন খুব অল্প সংখ্যক ক্রেতা। মূলত ঈদের তিন-চারদিন আগ থেকে পশুর বিক্রি বেশি করে শুরু হবে বলে আশা বিক্রেতাদের।  এবার কোরবানীর পশুর সরবরাহ বেশী থাকায় দাম সহনীয় পর্যায় থাকবে বলে ধারনা করা যায়। 

স্থানীয়রা গরুকে বিভিন্ন ভাবে সাজিয়ে বাজারে তুললেও দূরের ব্যবসায়ীরা ট্রাক এবং নৌকা যোগে প্রচুর সংখ্যক গরু বাজারে আনছেন। বাজারে বিভিন্ন প্রকারের গরু খাসিও উঠেছে। 

এদিকে প্রতিটি হাটে বাজারে নিরাপত্তার দায়িত্ব রয়েছে স্থানীয় পুলিশ সদস্যরা। তাই নির্ভয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতারা পশু বেচা কেনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

স্থানীয় এক খামারী বলেন, আমি নিজেই এই গরুর পরিচর্যা করি। আমার খামারের ১৮টি গরু আছে। এখন ১টি বড় গরু ১ লক্ষ আশি হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। তবে আমার খামারের বড় বড় আরও গরু লাখ টাকার ওপরে দাম হয়েছে। কেউ কেউ মূল্য হাঁকছেন তারচেয়ে কম টাকায়। যে দাম বলছে তাতে আমার খরচ থেকে বেশী হচ্ছে না। হাতে আরও সময় আছে কয়েকদিন আরো দেখে তারপর ছাড়বো।

কোরবানীর গরু কিনতে আসা আব্দুস সুবান বলেন, এবছর মন্নানঘাট বাজারে প্রচুর গরু আমদানী হয়েছে। দামও ভালো। তিনি একটি গরু ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা বলেছেন, এখনও কিনেন নি। তবে আরও ৫ হাজার বেশী দিয়ে হলেও এই গরুটিই তিনি কিনবেন বলে নিশ্চিত করেছেন। 

বেরীরপাড় গ্রামের জায়গার মালিক আবুল কাশেম বলেন, এবার পশুর দাম মোটামটি ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। হাটে গরু উঠছে প্রচুর। এ বাজারে গরুর কোন খাজনা নেওয়া হয় না। শুধু জায়গার মালিক গরু প্রতি ১শত টাকা করে নিচ্ছে। কারন বিক্রেতার এবং ক্রেতারা খাজনা না থাকায় এই বাজারে বেশী আসে তারা।

জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মীর মো. আব্দুন নাসের বলেন, পুলিশ প্রশাসন সার্বক্ষণিক বাজারে তদারকি করছেন। কেউ যেন জাল টাকা দিয়ে প্রতারণা না করতে পারে সেজন্য প্রতিটি বাজারে জাল টাকা সনাক্তকরণ যন্ত্র রয়েছে। যে কোন সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক পুলিশ প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

আই নিউজ/এইচএ 

Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়