Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, রোববার   ২০ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৭ ১৪৩২

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ১৫:৪০, ১ এপ্রিল ২০২৪

সুনামগঞ্জে ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে হাজারও ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ধ্বংসের চিত্র।

সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ধ্বংসের চিত্র।

সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কালবৈশাখি ঝড় ও শিলাবৃষ্টির তান্ডবে  সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভপুর, ছাতক উপজেলার অন্তত ২০ টি গ্রামের সহ্রাধিক ঘরবাড়ি বিধস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেসি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শান্তিগঞ্জ উপজেলায়। এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়নে মানুষের ঘরবাড়ি, যানবাহন, দোকানপাট, গাছগাছালিসহ ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভেঙে পড়েছে অসংখ্য বৈদ্যুতিক খুঁটি ও বড় বড় গাছ।  

রোববার (৩১ মার্চ) রাত সাড়ে ১০ টা নাগাদ বয়ে যাওয়া ঝড়ে প্রবল গতিতে এসব এলাকার কাঁচা ও টিনসেটের ঘরবাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েগেছে। গাছপালা, বৈদ্যতিক খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ঝড়ের কবলে গাছ উপড়ে পড়ে ও ঘরবাড়ির উপর চাপা পড়ে আহত হয়েছেন নারী শিশুসহ শতাধিক মানুষ। রাস্তার উপর গাছ ভেঙ্গে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় অনেক এলাকার সড়ক যোগাযোগ। তীব্র ঝড়ের ধাক্কায় বৈদ্যতিক খুঁটি ভেঙ্গে যাওয়ার পাশাপাশি লাইন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বন্ধ রয়েছে বৈদ্যতিক সংযোগ। ঝড়ের ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় খোলাআকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন।

রায়পুর পুরানবাড়ির হোসেন মিয়া বলেন, আমার সব শেষ। একমাত্র আশ্রয়স্থল ঘরটি পড়ে গেছে। আমার সব শেষ। আমার পাশের আরো দুটি ঘরও মাটির সাথে মিশে গেছে। একই গ্রামের সত্তোরোর্ধ মালিকুন বেগম। তার ঘরের চালের টিন পড়ে হাত কেটে ৭টি সেলাই লেগেছে।

পাগলা বাজারের ব্যবসায়ী আমজদ আলী, ব্রয়লার মোরগের ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন ও ইফতারির দোকানদার লিটন মিয়া বলেন, আমাদের জীবনেও এমন ঘুর্ণিঝড় দেখিনি। সবকিছু শেষ করে দিয়েছে। আমাদের ব্যবসার ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। কিচ্ছু বলার নেই।

এদিকে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনবার্সনে সরকারের পক্ষ থেকে যাবতীয় সহযোগীতা করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী। ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১০ মোট্টিকটন জিয়ার চাল ও ঢেউটিন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

আই নিউজ/এইচএ 

Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়