নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট: ১২:১০, ২৯ জানুয়ারি ২০২৩
২০২২ সালে সবচেয়ে কম আ ত্ম হ ত্যা করেছেন সিলেটের শিক্ষার্থীরা
প্রতীকী ছবি
আ ত্ম হ ত্যা, বর্তমানে বিষয়টি যেন দুরারোগ্য ক্যান্সারের চাইতেও বেশি বিপদজনক। এই সময়ে তরুণ প্রজন্মের পাশাপাশি কারণে অকারণে মরণঘাতি এ সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গেছে অল্পবয়সী দেশের কিশোর-কিশোরী শিক্ষার্থীদের। তবে এক সমীক্ষায় দেখা গেছে গত ২০২২ সালে দেশের সবচেয়ে কম আ ত্ম হ ত্যা করেছেন সিলেটের শিক্ষার্থীরা।
২০২২ সালে সারাদেশের স্কুল-কলেজ পর্যায়ের ৪৪৬ জন শিক্ষার্থী আ ত্ম হ ত্যা করেছেন। আশঙ্কার ব্যাপার হলো সমীক্ষায় উঠে আসা তথ্য বলছে আ ত্ম হ ত্যা করা শিক্ষার্থীদের মাঝে দুই তৃতীয়াংশই স্কুলপড়ুয়া বা সমমান পর্যায়ের। বাকি এক শতাংশ শিক্ষার্থী কলজ এবং দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) বেসরকারি সংস্থা আঁচল ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘স্কুল ও কলেজ শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার প্রবণতা; সমাধান কোন পথে?’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ সমীক্ষা প্রকাশ করা হয়েছে।
সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, স্কুল ও সমমান পর্যায়ের ৩৪০ জন এবং কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থী ১০৬ জন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৮৬ জন শিক্ষার্থী আ ত্ম হ ত্যা র পথ বেছে নিয়েছেন ২০২২ সালে।
স্কুল-কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ছিল ঢাকা বিভাগে। আর সবচেয়ে কম আ ত্ম হ ত্যা র ঘটনা ঘটেছে সিলেটে।
সমীক্ষা প্রতিবেদনে জানানো হয়, সারাদেশের মোট আট বিভাগে আ ত্ম হ ত্যা করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ ঢাকা বিভাগে। এরপরই চট্টগ্রাম বিভাগে ১৭ দশমিক ২৭ শতাংশ। এছাড়া রাজশাহী বিভাগে ১৬ দশমিক ৮১ শতাংশ, খুলনা বিভাগে ১৪ দশমিক ১৩ শতাংশ, রংপুরে ৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ, বরিশালে ৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ, ময়মনসিংহে ৬ দশমিক ২৭ শতাংশ এবং সিলেট বিভাগে ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ শিক্ষার্থী আ ত্ম হ ত্যা করেন।
আ ত্ম হ ত্যা করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রী ২৮৫ জন এবং ছাত্র ১৬১ জন। এরমধ্যে ৫৪ জন মাদরাসা শিক্ষার্থী।
জানা যায়, স্কুল ও কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে গত বছরের জানুয়ারিতে ৩৪ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৯ জন, মার্চে ৪১ জন, এপ্রিলে ৫০ জন, মে মাসে ৪৫ জন, জুনে ৩১ জন, জুলাইয়ে ৪০ জন, আগস্টে ২১ জন, সেপ্টেম্বরে ৩২ জন, অক্টোবরে ৩০ জন, নভেম্বরে ৪৯ জন এবং ডিসেম্বর মাসে ৩৪ জন শিক্ষার্থী আ ত্ম হ ত্যা করেন।
সমীক্ষায় প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ৩৭ জন স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থী আত্মহননের পথ বেছে নেন।
আঁচল ফাউন্ডেশন জানায়, আ ত্ম হ ত্যা কা রী শিক্ষার্থীরা তাদের জীবদ্দশায় নানা বিষয়ের সম্মুখীন হন। যা তাদের আ ত্ম হ ন নে র পথে ঠেলে দিতে বাধ্য করে। জরিপে উঠে আসা এমনই বেশ কিছু কারণের মধ্যে দেখা যায় মান-অভিমানের বশে সবচেয়ে বেশি আ ত্ম হ ত্যা র ঘটনা ঘটেছে। যেখানে ২৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ অভিমান করে শিক্ষার্থী আ ত্ম হ ত্যা করেছেন। এদের বড় অংশেরই অভিমান ছিল পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে।
শিক্ষার্থীদের আ ত্ম হ ত্যা র অন্য কারণগুলোর মধ্যে প্রেমঘটিত কারণও অন্যতম। প্রেমঘটিত কারণে ২৩ দশমিক ৩২ শতাংশ, পারিবারিক কলহে ৩ দশমিক ১৪ শতাংশ, হতাশাগ্রস্ত হয়ে ২ দশমিক ০১ শতাংশ, মানসিক সমস্যায় ১ দশমিক ৭৯ শতাংশ, আর্থিক সমস্যায় ১ দশমিক ৭৯ শতাংশ এবং উত্ত্যক্ত, ধ র্ষ ণ ও যৌ ন হয়রানির শিকার হয়ে আ ত্ম হ ত্যা র পথে ধাবিত হয়েছেন ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আ ত্ম হ ত্যা র পেছনে প্রকৃত কারণ জানা যায়নি।
স্কুল ও কলেজ শিক্ষার্থীদের আ ত্ম হ ত্যা র কারণ হিসেবে আরও বেশ কিছু কারণের তথ্য পেয়েছে আঁচল ফাউন্ডেশন। এরমধ্যে আছে- আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ায় ৪ জন, শিক্ষক কর্তৃক অপমানিত হয়ে ৬ জন, মোবাইল গেম খেলায় বাধা দেওয়ায় ৭ জন, পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে ২৭ জন, মোবাইল ফোন কিনে না দেওয়ায় ১০ জন, মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় ৬ জন শিক্ষার্থী আ ত্ম হ ত্যা করেন।
এছাড়া আ ত্ম হ ত্যা র অন্য কারণের মধ্যে রয়েছে পরীক্ষায় অকৃতকার্য বা আশানুরূপ ফলাফল না করতে পারা, পড়াশোনার চাপ অনুভব এবং পারিবারিক চাপ।
আই নিউজ/এইচএ
আই নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও দেখুন
জলময়ূর পাখির সাথে একদিনের দারুণ গল্প | A story with Water Peacock
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’