Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শুক্রবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৫ ১৪৩২

ভ্রমণ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:১৭, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০
আপডেট: ২২:৩১, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০

পাহাড়ের বুকে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে ‘ওয়াগ্গা চা বাগান’

ওয়াগ্গা চা বাগান, প্রকৃতির প্রায় সব রূপ-রং যেন এখানে এসে মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে। বিশাল এই সবুজের ভীড় কার না ভালো লাগবে! বিকেলের ফুরফুরে বাতাসের সাথে এমন সবুজে ঘেরা স্থানে কাটানো মুহূর্ত অনেকটা আলাদা হয়েই স্মরণ হবে পরবর্তী সময়গুলোতে। শুধু স্থানীয়দের ভিড়ই না, জায়গাটি অন্যান্য অঞ্চলের পর্যটকদেরও আকর্ষণে করেছে। তাই, সারা বছর অসংখ্য বিদেশি পর্যটকদেরও আসা-যাওয়া চলতে থাকে জায়গাটিতে।

চা-বাগানটি পর্যটকদের জন্য অত্যন্ত মনোরম ও উপভোগ্য দর্শনীয় এক স্থান। নীলাভ সবুজ চা এর সমারোহে যে কোনো মানুষ গেলেই সবুজের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে চাইবে। তবে এটি বেশ পুরনো চা বাগান হলেও তেমন প্রচারণা না থাকায় সবুজ পাহাড়ের বুকে যে এমন চায়ের বাগান রয়েছে তা জানেনই না অনেকেই।

কাপ্তাই উপজেলা সদরের কাছে কর্ণফুলী নদীর তীরে ওয়াগ্গা ইউনিয়নের এ চা-বাগানটির অবস্থান। ১৮৮৬ সালে ব্রিটিশ নাগরিক মিস্টার ডরিন-এর নেতৃত্বে কর্ণফুলী নদীর উভয় তীরে ওয়াগ্গাছড়া এলাকায় চা বাগান সৃজনের কাজ শুরু হয়।

প্রায় ৫০ বছর সময়কাল চা বাগানের কর্তৃত্ব ব্রিটিশদের হাতে থাকার পর এটির হাত বদলের ধারাবাহিকতায় চা বাগানের মালিকানা লাভ করেন নুরুল হুদা কাদেরী। বর্তমানে কাদেরী পরিবারের ব্যবস্থাপনায় ‘ওয়াগ্গা টি লিমিটেড’ নাম দিয়ে চা শিল্পের পরিচালনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ টি রিসার্স ইনস্টিটিউটের নতুন উদ্ভাবিত প্রায় সব কয়টি জাতই এ চা বাগানে চাষ করা হচ্ছে। ৩৭০ হেক্টর আয়তনের এ বাগানে বাগান কর্তৃপক্ষের নিজস্ব একটি ফ্যাক্টরিও রয়েছে। যাতে প্রতি বছর প্রায় ৪০ হাজার কেজি চা উৎপাদিত হচ্ছে। 

চা বাগানে যেতে হলে চট্টগ্রামের বদ্দারহাট হতে সড়ক পরিবহন যোগে কাপ্তাই উপজেলায় যেতে হবে। কাপ্তাই যাওয়ার আগে বড়ইছড়ি উপজেলা হেড কোয়ার্টারে নামতে হবে। এখানে নেমে ওয়াগ্গাছড়া চা এস্টেট এর নৌকা যোগে কর্ণফুলী নদী পার হয়ে ওয়াগ্গাছড়া চা বাগান যেতে হবে। আর কেউ যদি রাঙামাটি শহর যেতে চান, তাহলে রাঙামাটি শহর থেকে কাউখালী উপজেলার ঘাগড়াবাজার হয়েই সড়কযোগে কাপ্তাই পৌঁছাতে পারবে। তবে ব্যক্তি মালিকানাধীন বাগান হওয়ায় এক্ষেত্রে অবশ্য চা বাগানে যেতে হলে সংশ্লিষ্টদের অনুমতির বাধ্যবাধকতা রয়েছে।  

এ বাগানে যারা কাজ করেন থাকেন তাদের সবাই স্থানীয় বাসিন্দা। এর মাধ্যমে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মানুষও জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। ৩৭০ হেক্টর আয়তনের চা বাগানটি বেশ কয়েকটি পাহাড়ে বিভক্ত। চা বাগানের ভেতর দিয়ে স্থানীয় একটি মারমাপাড়ায় যাওয়া যায়। উজানছড়ি পাড়া নামের এই পাহাড়ি আদামে মারমা জনগোষ্ঠীর বসবাস। তারা অনেকটাই সহজসরল জীবনযাপন করেন। যা পাড়ার পরিবেশ দেখেই যে কেউ মুহূর্ততের মাঝেই অনুভব করতে পারবে।  

আইনিউজ/এসপি

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়