Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শুক্রবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৫ ১৪৩২

ভ্রমণ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৪৪, ১ অক্টোবর ২০২০
আপডেট: ১৪:৪৯, ১ অক্টোবর ২০২০

সেন্টমার্টিনে রাত্রীযাপনে আসছে নতুন সিদ্ধান্ত!

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

আসছে মৌসুমে সেন্টমার্টিন দ্বীপে মাত্র ১ হাজার ২৫০ জন পর্যটক ভ্রমণ করতে পারবে। এছাড়া রাতে সেখানে পর্যটক অবস্থানের বিষয়েও নতুন সিদ্ধান্ত আসতে পারে। 

প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সেখানে পর্যটক নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পর্যটকের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে এ উদ্যোগটি আসে গত মার্চে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক আন্তমন্ত্রণালয় সভায়।

বেসরকারি বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরেই নিয়ন্ত্রিত পর্যটনের বিষয়টি বাস্তবায়নের চেষ্টা করবো আমরা।

প্রতিবছর সেপ্টেম্বরে সেন্টমার্টিনে পর্যটন মৌসুম শুরু হয়। এপ্রিল পর্যন্ত এই দ্বীপে সাধারণত পর্যটরা যেতে পারেন। এই সময়ে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ থেকে ১০ হাজার পর্যটক সেখানে বেড়াতে যান। এর অধিকাংশই সেখানে রাত্রীযাপন করেন। নতুন নিয়ম বাস্তবায়ন হলে, এই দৃশ্য পুরোপুরি পাল্টে যাবে।

পরিবেশবিদ বিশ্বজিত সেন বাঞ্চু বলছেন, পর্যটকের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ না করলে দ্বীপের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কঠিন হবে। সমুদ্র সৈকতে এক ধরনের যানবাহন চলাচলের কারণে বালিয়াড়ি নষ্ট হচ্ছে এবং সামুদ্রিক কচ্ছপসহ অন্যাণ্য প্রাণীদের অবাসস্থলে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। সেন্টমার্টিনের দৈনিক পর্যটক থারণ ক্ষমতা ১ হাজার ৮৩৫ জন। কিন্তু ৫ থেকে ৭ হাজার মানুষ অবস্থান করছে।

এ দ্বীপ নিয়ে ৯ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক ওশান সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা নিবন্ধে বলা হয়, ২০৪৫ সালের মধ্যে সেন্টমার্টিন পুরোপুরি প্রবালশূন্য হতে পারে। এ ছাড়াও বিশ্বজুড়ে বিলুপ্তপ্রায় জলপাই রঙের কাছিম, চার প্রজাতির ডলফিন, বিপন্ন প্রজাতির পাখিসহ নানা ধরনের বন্য প্রাণীর বাস। সেগুলো নিয়ে নানা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

তবে সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্ত পুনঃবিবেচনার দাবি জানিয়েছে ট্যুর অপারেটরস্ অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক)। সংস্থাটি বলছে, সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটকদের ভ্রমণ সীমিতকরণ বা রাত্রিযাপনে নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হলে পর্যটন শিল্পে নিয়োজিত ৭-৮টি জাহাজ, কয়েকশ’ বাস-মিনিবাস, শতাধিক মাইক্রোবাস, ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠান, টুরিস্ট গাইড এবং দ্বীপের শতাধিক হোটেল-কটেজ ও অর্ধশতাধিক রেস্তোরাঁয় কর্মরতদের জীবন-জীবিকা বিপন্ন হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

পর্যটকদের সেবা দেয়ার জন্য অপরিকল্পিত দোকানপাট গড়ে উঠেছে। পর্যটকের চাপে পরিবেশ দূষণ বেড়েছে। সাগরে জমা হওয়া ৮০ শতাংশই প্লাস্টিক ব্যবহারের পর খোলা জায়গায় ফেলে দেয়া হয়। জমে থাকা প্লাস্টিক ধীরে ধীরে সাগরে গিয়ে মিশে যাচ্ছে। দ্বীপের পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে পরিচ্ছন্নকর্মী নিয়োগ জরুরি বলে মনে করে আইএমইডি।

আইনিউজ/এসডিপি 

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়