Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১০ এপ্রিল ২০২৫,   চৈত্র ২৭ ১৪৩১

ইয়াসীন সেলিম

প্রকাশিত: ১৯:৫৬, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
আপডেট: ২০:২৬, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

অষ্টগ্রাম-মিঠামইন-ইটনা ভ্রমণ: বিস্ময় হাওরে হাওয়া বদল

যেদিকে তাকাই শুধু জল আর জল। সমুদ্রের মত বিশালাকার সেই জলে সারাক্ষণ বইতে থাকে শরীর আর মনকে জুড়িয়ে দেয়া প্রশান্তির হাওয়া। সে হাওয়ায় দোল খেতে খেতে ডিঙি নৌকায় কোনো এক মাঝি কিংবা জেলে গান গাইতে গাইতে গন্তব্যের দিকে ছুটে চলেছে। জলের মাঝখানে বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় মানুষের বসতভিটা। নদীর বুকে জেগে ওঠা চর কিংবা সাগরের বুকে দ্বীপের মত গুচ্ছ গুচ্ছ বাড়িগুলো যেন জলের ওপর ভাসছে। ওপরে দিগন্ত-বিস্তৃত সুনীল আকাশ।

সাদা সাদা মেঘের সারি ভেসে বেড়ায় পুরো আকাশজুড়ে আর তৈরি করে অদ্ভুত সব মেঘের আলপনা। হাওর নিয়ে ভাবতে গেলে আমাদের চোখের সামনে এই দৃশ্যগুলোই ভেসে ওঠে। কিন্তু হাওরের বুকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সাথে যখন আধুনিক স্থাপত্য আর সুদৃশ্য সড়কপথের সম্মেলন ঘটে, তখন সেখানে এই স্বর্গীয় আবেশ ভর করে। চোখ ও মনের শান্তির জন্য এই পরিবেশ পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল।

বাংলায় প্রতিটি হাওরেরই আছে আলাদা আলাদা সৌন্দর্য। সিলেটের মানুষ হিসেবে এই বিভাগের সব হাওর আগেই ঘুরেছি। বহুদিন থেকেই ইচ্ছে ছিল কিশোরগঞ্জের হাওর ঘুরতে যাব। বিশেষ করে অষ্টগ্রাম হাওর ও নিকলি হাওরের রূপের বর্ণনা শুনেছি নানা সময়ে, দেখেছি টেলিভিশন আর ইউটিউবে অনেক ভিডিও। যাওয়ার ইচ্ছেটা মূলত সেখান থেকে জাগে। কিন্তু নানা ব্যস্ততা পেছনে ফেলে পুরো একটি দিন হাওরে কাটানোর জন্য সময় ও সুযোগ কোনোটাই হচ্ছিল না। ভ্রমণপ্রিয় কিছু মানুষের সঙ্গী হয়ে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম ভ্রমণের সুযোগটা এসে গেলো ২০আগস্ট-২০২১, সোমবারে।

পরিকল্পনা হলো পুরো ট্যুরটা হবে মোটরবাইকে। কারণ হাওরে যে নতুন রাস্তা হয়েছে সে রাস্তার সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে বাইকের বিকল্প নেই। মোট সাতটা বাইকে ১৫জন ভ্রমণপ্রেমী রওয়ানা হলাম সকাল সাতটায়। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শেরপুরে জনতা রেস্টুরেন্টে সকালের নাশতা সেরে নিলাম গরম গরম পরোটা দিয়ে। বাইকে জ্বালানি লোড করে সবাই ছুটে চললাম হবিগঞ্জের দিকে। আমাদেরকে পূর্বনির্ধারিত হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় পৌঁছাতে হবে। তারপর নৌকা করে অষ্টগ্রাম। হবিগঞ্জে গিয়ে চা-পানের বিরতি হলো। চা খেয়ে আবার শুরু করলাম যাত্রা। লাখাইয়ের বুল্লা বাজারে পৌঁছে নৌকাঘাটে গেলাম। প্রথমে পরিকল্পনা ছিল সেখান থেকে যাব। কিন্তু সেখানে সুবিধামত নৌকা না পেয়ে স্থানীয়দের পরামর্শে চলে গেলাম লাখাই ঘাটে। সেখান থেকে দুটো নৌকা রিজার্ভ করলাম। আমাদের বাইকসহ যাওয়া-আসা ৪৫০০টাকায় ঠিক করলাম। এরপর বাইকগুলোকে নৌকায় তুললাম মাঝিদের সহায়তায়। উঠলাম আমরাও। ততক্ষণে বেলা এগারোটা বেজে গেছে। শুরু হলো হাওরযাত্রা।

কিশোরগঞ্জের ১৩টি উপজেলার মধ্যে নিকলি, মিঠামইন, ইটনা ও অষ্টগ্রাম হলো হাওরপ্রবণ এলাকা। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ জেলা সদর থেকে ৬০কিলোমিটার দূরে অবস্থিত অষ্টগ্রাম উপজেলার অষ্টগ্রাম হাওর অন্যতম। অপার সৌন্দর্যের জন্য একে 'হাওরের রানি' বলা হয়। হাওরের স্বচ্ছ অথৈ জল, ছোট ছোট গ্রাম, গুচ্ছবাড়ি মুগ্ধ করার মতো রূপ নিয়ে হাজির হয় বর্ষা ও শরৎকালে। শীতকালে যেখানে সবুজ প্রান্তর, বর্ষায় সেখানেই জলের সৌন্দর্য। হাকালুকি ও টাঙ্গুয়ার হাওরের পাশের এই হাওর চারটা জেলার মিলনস্থল। কিশোরগঞ্জের সাথে হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনাকে মিলিয়ে দেয় অষ্টগ্রাম হাওর।

কড়া রোদ্দুরে নৌকার ছাদে ওঠে গান গেয়ে গেয়ে অষ্টগ্রামের দিকে যাচ্ছি আমরা। সূর্যের তাপ চামড়াকে পুড়িয়ে দিতে চাইলেও হাওরের শীতল হাওয়া আমাদের হৃদয়কে প্রশান্ত করে দিচ্ছিল। নৌকার ভেতরে বসার ব্যবস্থা থাকলেও তীব্র রোদেও ছাদে উঠেছিলাম প্রকৃতিকে দেখার জন্য। সেটা সার্থক হলো হাওরের সৌন্দর্যের কারণে। এমন আনন্দের ক্ষণটা দ্রুত ফুরিয়ে গেলো। মাত্র চল্লিশ মিনিটের মাথায় চলে গেলাম অষ্টগ্রাম বিআইডব্লিউটির জেটির কাছে। সেখানে নৌকা ভিড়িয়ে বাইকগুলো নামালাম; নামলাম আমরাও।

কিছুক্ষণ পর বাইকে চেপে বসলাম সবাই। রওয়ানা দিলাম মিঠামইনের দিকে। কিছুক্ষণ চলার পর ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম নবনির্মিত সড়কে ওঠে গেলাম। সেখান থেকে জিরো পয়েন্টে গিয়ে কিছুক্ষণ থামলাম। দুয়েকটা ছবি তুললাম নিজের ও প্রকৃতির। এরপর মিঠামইনে চলে গেলাম। ইতিমধ্যেই খিদে চাগিয়ে ওঠেছে সবার। দুপুরের খাবার খেতে চলে গেলাম একটা রেস্টুরেন্টে। কাঁচা লংকা রেস্টুরেন্ট ও পার্টি সেন্টার নামের এই রেস্টুরেনেটের অবস্থান মিঠামইন বাজারেই। যার যার চাহিদা অনুযায়ী হাওরের তাজা মাছ, চিংড়ি, বাইন, মাছের মুড়িঘণ্ট, রাজহাঁসের মাংস, সবজি, ডাল দিয়ে ভরপেট ভাত খেলাম। খাওয়া শেষে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে চলে গেলাম মিঠামইন বাজারের পাশেই কামালপুরে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের বাড়িতে। কিশোরগঞ্জ তথা হাওরাঞ্চলের কৃতি সন্তান আব্দুল হামিদ সাহেব এমপি, স্পিকার হয়ে শেষে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। ওনার বাড়ি এখন মিনি পর্যটনকেন্দ্র। হাওর দেখতে যাওয়া মানুষগুলো এই বাড়িটা একবার অন্তত দর্শন না করে আসে না। একজন রাষ্ট্রপতি, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তি। কিন্তু বাড়িতে সেই জৌলুস নেই। শুনেছিলাম উনি সাদামাটা জীবনযাপন করেন। এখানে এসে সেটাই দেখলাম।

রাষ্ট্রপতির বাড়ি থেকে বেরিয়ে পেছন দিকে নিকলি হাওরের পাড়ে চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখি প্রচুর পর্যটন নৌকা ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নিকলি হাওর, ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম অঞ্চলে বেড়াতে এসেছেন। হাওরের পাড় ধরে কিছুক্ষণ পায়ে হেঁটে ঘুরলাম। ইচ্ছে করছিল হাওরের বুকে কিছুক্ষণ সাঁতার কাটতে ও জলকেলি করতে। সেই প্রস্তুতি নিয়েও গিয়েছিলাম। কিন্তু সময় সংক্ষিপ্ত ও সফরসঙ্গীদের অনিচ্ছায় এ যাত্রায় আর সেটা হলো না। কারণ আমাদের বিকেলের মধ্যে নতুন নান্দনিক রাস্তা ও ইটনা পর্যন্ত ঘুরে শেষ করতে হবে। তাই বাইক নিয়ে মিঠামইন বাজার ঘুরে রওয়ানা দিলাম নবনির্মিত অত্যাধুনিক সড়কটির দিকে।

সড়কের নাম ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক। তিনটি উপজেলার মানুষেরা নৌকায় না চেপে যানবাহনে দ্রুততম সময়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার জন্যই এই অসাধারণ সড়কটির জন্ম। হাওরের বুকে এত নান্দনিক সড়ক করা যায় এটা না দেখলে বোঝা সম্ভব নয়। প্রায় ত্রিশ কিলোমিটার ব্যাপ্তির এই সড়ক মহামান্য রাষ্ট্রপতির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ তৈরি করেছে। সড়কের দুইপাশে সিসি ব্লক দিয়ে অল-ওয়েদার রোড বা সকল ঋতুতেই চলাচলের উপযোগী করে নির্মাণ করা হয়েছে। ৮৭৪কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে সওজ এই সড়কটির মূল আনুষ্ঠানিক নির্মাণকাজ শুরু করে ২০১৬সালের ২১শে এপ্রিল, যার উদ্বোধন করেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। ২০২০সালের ৮ অক্টোবর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সড়কটি উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনের আগেও অনেক পর্যটক এলেও  উদ্বোধনের পর থেকে এই সড়কটি হয়ে ওঠে কিশোরগঞ্জের হাওর পর্যটনের মূল আকর্ষণ। হাজার হাজার পর্যটক দেশের নানাপ্রান্ত থেকে ছুটে আসেন, হাওরের পাশাপাশি সড়কটিতে ঘুরে বেড়ান আর ফিরে যান একরাশ আনন্দের স্মৃতিকে সঙ্গী করে। বর্ষায় সড়কের দু’পাশে অথৈ জলরাশি, নির্মল-বিশুদ্ধ বাতাস আর মনকাড়া ঢেউয়ের খেলা দেখা যায়। শুকনো মৌসুমে মাইলের পর মাইল শুধু ফসলি জমিই দেখা যায়, যেখানে সবুজ আর সোনালি রং মিলেমিশে একাকার হয়ে থাকে। হাওরের বুকে বিশাল খোলা আকাশের রূপে দারুণ মুগ্ধ হয় ভ্রমণপ্রেমীরা। কখনো ঝকঝকে নীল আকাশ, কখনো শাদা মেঘের ভেলা। ভোরের আলো আর গোধূলির সন্ধ্যায় ভিন্ন ভিন্ন রূপে ধরা দেয় হাওরের আকাশ। এই ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক বদলে দিয়েছে হাওরের মানুষের জীবন ও অর্থনীতি। পর্যটনকেন্দ্রীক অর্থনীতিতে মানুষের জীবনযাত্রায় লেগেছে স্বপ্নের ছোঁয়া। 'বর্ষায় নাও আর শীতে পাও' এই অপবাদ ঘুচিয়ে দিয়ে আধুনিক যাতায়াতব্যবস্থার সূচনা করেছে এই নতুন রাস্তাটি।

বাইকে করে পুরো সড়ক ঘুরলাম। মাঝে মাঝে বিরতি দিয়ে পানি, চা, কোমল পানীয় পান চলছিল। সাথে চলছিল শখের ফটোগ্রাফি আর ভিডিওগ্রাফিও। চলতে চলতে সড়কের শেষপ্রান্ত ইটনায় চলে গেলাম একসময়। ওদিকে বিকেলও হয়ে আসছিল। সূর্যটা গোধূলির আভায় নিজেকে রাঙিয়ে নিচ্ছিল ক্রমশ। অদ্ভুত এক মায়াময় পরিবেশ চারপাশে। রাতে হাওরে নৌকা ভ্রমণ নিরাপদ নয়, তাই সন্ধ্যা ঘনাবার আগেই রওয়ানা দিলাম অষ্টগ্রাম জেটিঘাটের দিকে। আমাদের একটা গ্রুপ পৌঁছে গেলেও অন্যগ্রুপ পৌঁছাতে দেরি হওয়ায়   সন্ধ্যা ঘনিয়ে রাত নেমে এলো। অগত্যা রাতেই রওয়ানা দিলাম অষ্টগ্রাম থেকে লাখাইয়ের দিকে।

একটা অস্বস্তি নিয়ে ফিরতিযাত্রা শুরু করেছিলাম। কিন্তু আকাশে বিশালাকার চাঁদ আর চাঁদের আলোর হাওরের বুকে মোহনীয় এক রূপালি রাত্রি দেখে সব ভয়-শঙ্কা উড়ে গেলো। হাওরের উদাস হাওয়া, আর রূপালি জোছনায় জলের ওপর ভেসে থাকা- এ সুখ ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। ইচ্ছে করছিল সেখানেই ঘুমিয়ে পড়ি। হাওরের মাঝখানে বিভিন্ন বাড়িঘর বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত। অবহেলিত জনপদে আধুনিকতার ছোঁয়া। একটা বাড়ি থেকে উচ্চশব্দে লোকসংগীতের সুর ভেসে এলো। অপার্থিব এক পরিবেশের উদ্রেক ঘটাল তাতে। দেখতে দেখতে মাত্র চল্লিশ মিনিটেই চলে এলাম লাখাই ঘাটে। সারাটা দিনের এক অসাধারণ ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নিয়ে, হাওরের অদ্ভুত এক মায়াকে পেছনে ফেলে ছুটে চললাম গন্তব্যের দিকে।

যেভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে নানাভাবে নিকলি, ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম যাওয়া যায়। প্রথমে বাস কিংবা ট্রেনে করে, পরে নৌকা নিয়ে যাওয়া যাবে। ঢাকা ও এর আশপাশের জেলাগুলো থেকে একদিনেই ঘুরে আসা যায়। মোটামুটি স্বল্প খরচেই কিশোরগঞ্জের হাওর ভ্রমণ সম্ভব।

কোথায় থাকবেন

থাকার উদ্দেশ্যে গেলে কিশোরগঞ্জে বিভিন্ন রিসোর্ট ও হোটেল পাওয়া যাবে। সস্তা, মাঝারি ও উচ্চমূল্যের রুম পাওয়া যায়। কেউ হাওরে থাকতে চাইলে মিঠামইনে নতুন নির্মাণ হওয়া প্রেসিডেন্ট রিসোর্টে থাকতে পারেন। যদিও সেখানকার রুমের ভাড়া অনেক বেশি। তাছাড়া সরকারি ডাকবাংলোতেও স্বল্প খরচে থাকা যাবে।

কোথায় খাবেন

মিঠামইন বাজারে বেশকিছু রেস্টুরেন্ট আছে, যেখানে হাওরের তাজা মাছ, হাঁস, মুরগি, খাসি সব পাবেন। তবে হাওরে গেলে সেখানকার মাছগুলো টেস্ট করা উচিত। মিঠামইন ছাড়া অষ্টগ্রাম, নিকলিতেও কিছু রেস্টুরেন্ট আছে। রেস্টুরেন্টভেদে খাবারের মূল্য ওঠানামা করে।

সতর্কতা

হাওরে গেলে সাঁতার না জানলে পানিতে নামার দরকার নেই। নৌকায় চড়ার সময় লাইফ জ্যাকেট ভাড়া করে নেয়া উচিত। রাতের হাওরে যথাসম্ভব নৌকা ভ্রমণ না করাই উত্তম। চারদিকে বিদ্যুতের খুটি আছে। রাতে পথ না দেখে সেসব খুটির একটাতেও ধাক্কা খেলে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যাবে নিশ্চিত। আর উন্নতমানের পিচঢালাই রাস্তা পেয়ে বাইকের গতি অস্বাভাবিক করে বাইক চালানো অনুচিত। ইতোমধ্যেই অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে ওখানে। তাই সতর্ক থাকা জরুরি।

আইনিউজ/ইয়াসীন সেলিম/এসডি

আইনিউজ ভ্রমণ ভিডিও

হাইল হাওরের বাইক্কাবিলে পর্যটক আর পদ্মটুনার ভিডিও ভাইরাল

নীলাদ্রি লেক আমাদের এক টুকরো কাশ্মীর | পাখির চোখে নীলাদ্রি

শ্রীমঙ্গলে ১২ ফুট লম্বা অজগর সাপ উদ্ধার

২৩ মিনিট ২৩ সেকেন্ডে মৌলভীবাজার শহর পরিভ্রমণ

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়