Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বুধবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৩ ১৪৩২

ইমরান আল মামুন

প্রকাশিত: ২২:৪৮, ৫ জুন ২০২৩

এক নজরে টাঙ্গাইল জেলা তথ্য

আজকের আর্টিকেলে রয়েছে এক নজরে টাঙ্গাইল জেলা সম্পর্কে। এ আর্টিকেলের মাধ্যমে একজন পাঠক টাঙ্গাইল জেলা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য যেমন টাঙ্গাইল কিসের জন্য বিখ্যাত, টাঙ্গাইল জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি এবং টাঙ্গাইলের ঐতিহ্য সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যগুলো জানতে পারবে। আসুন তাহলে এখন আর দেরি না করে চলেন জেনে নেই আমাদের বৃহত্তর টাঙ্গাইল সম্পর্কে। ‌

টাঙ্গাইল এর নাম শুনলে প্রথমে আসে চমচমের কথা। এর সুনাম শুধু সারা টাংগাইল কিংবা ঢাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সারা বাংলাদেশ জুড়ে এর প্রচুর জনপ্রিয় এবং চাহিদা রয়েছে। এই ধরুন টাঙ্গাইলের লোক কোথাও ঘুরতে গেল সেখানে যদি তার পরিচয় দেওয়া হয় টাঙ্গাইলের লোক। ‌তাহলে তার কাছে জানতে চাওয়া হয় এই চমচম ‌ সম্পর্কে। আর কোথাও যদি মিষ্টি জাতীয় খাবারের কথা উঠে তাহলে সেখানে টাঙ্গাইলের চমচম কথাটি না উঠলেই নয়। ‌ শুধুমাত্র চমচমের জন্য নয় এছাড়াও আরো অনেক কারণে বিখ্যাত আমাদের এই জেলা। জনপ্রিয়তার তালিকা আরেকটি রয়েছে টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি। ‌এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি যা সারা বাংলাদেশের মানুষকে মুগ্ধ করে।

এক নজরে টাঙ্গাইল জেলা তথ্য

অন্যান্য জেলার মতো টাঙ্গাইল জেলা সম্পর্কে মোটামুটি সবারই ধারণা রয়েছে। ‌বিশেষ করে যারা উত্তরবঙ্গে বসবাস করে তারা এ জেলা সম্পর্কে একটু বেশি জেনে থাকে। ‌তাছাড়া বাংলাদেশের প্রায় অধিকাংশ যাতায়াত এ জেলার মাধ্যমে করা হয়। যাদের ধারণা রয়েছে এবং ধারণা নেই উভয়েরই আরো বেশি জানার জন্য আজকের আর্টিকেলে সকল তথ্যগুলো দেওয়া হচ্ছে। 

টাঙ্গাইল জেলার ইতিহাস 

টাঙ্গাইল নামটির নামকরণ নিয়ে বেশি ইতিহাস রয়েছে। এ নিয়ে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিন্ন ভিন্ন মতামত। ‌১৭৭৮ সালে রেনেলের মানচিত্রে টাঙ্গাইল কে বলা হত আটিয়া। তবে ১৮৬৬ সালের আগে টাঙ্গাইলের কোন স্বতন্ত্র নামের পরিচয় ছিল না। ‌ কিন্তু এর চার বছর পরেই টাঙ্গাইল নামটি প্রকাশ পায়। ‌সেদিন ছিল ১৫ ই নভেম্বর ১৮৭০। আর আতিয়া মহাকুমা থেকে তা পরিবর্তন করে টাঙ্গাইল স্থানান্তর করা হয়। 

আর টাঙ্গাইল নামটি মূলত দেওয়া হয়েছে টং শব্দ থেকে। টাং বা টং শব্দের অর্থ হচ্ছে উঁচু। ‌আইল শব্দের অর্থ হচ্ছে সীমানা বা প্রাচীর। এর বেশিরভাগ উপজেলাগুলো শেষে আইল শব্দটি যুক্ত থাকার কারণে টাং এর সাথে আইল যোগ করে নাম রাখা হয়েছে টাঙ্গাইল। তবে এই আইল শব্দ নিয়ে বেশ কয়েকটি মজার গল্প রয়েছে। ‌ মজার গল্প বলতে এটি একটি লোককথা। ‌ টাঙ্গাইলের ঠাকুর ও সাবালিয়ার মধ্যবর্তী স্থানে নীল চাষ করতেন এবং নীল কারখানা ছিল। ‌এই আইলকে সাধারণত বলা হয় টেঙ্গু সাহেবের আইল। এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের লোক কথা, এই টাঙ্গাইল নামকরণ করা নিয়ে।

টাঙ্গাইল জেলার ভৌগলিক অবস্থান 

আপনি যদি এক নজরে টাঙ্গাইল জেলা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এর ভৌগোলিক অবস্থার সম্পর্কেও জানতে হবে। পূর্বে এটি ময়মনসিংহের অধীনস্থ ছিল। ‌ধারণা করা হয় প্রায় সাড়ে ৫ হাজার বছর পূর্বে এটি সমুদ্র গর্ভে নিমজ্জিত ছিল। মনে করা হয় গারো পাহাড় থেকে ভাওয়াল পর্যন্ত যে পাহাড়গুলো রয়েছে তা হচ্ছে তখনকার সময়ের স্থলভাগ। তারপর ‌ এর পরিবর্তনের ফলাফলে বিশাল জায়গা জুড়ে স্থল ভাগ সৃষ্টি হয়েছে। ‌ আর তার একটি অংশ হচ্ছে টাঙ্গাইল। ‌আর টাঙ্গাইল হচ্ছে প্রাচীন ইতিহাসের একটি নিদর্শন। চীনা পর্যটক হিউমান সাঙের মতে বঙ্গভূমি মোট ৬ ভাগে ভাগ করা হয়েছিল। ( Source: Wikipedia )

টাঙ্গাইল জেলার অবস্থান 

টাঙ্গাইল জেলার উত্তরে রয়েছে জামালপুর জেলা এবং দক্ষিণে রয়েছে ঢাকা এবং মানিকগঞ্জ জেলা। আর পূর্বে রয়েছে গাজীপুর এবং ময়মনসিংহ জেলা এবং পশ্চিমে রয়েছে শুধুমাত্র সিরাজগঞ্জ জেলা। ‌টাঙ্গাইল জেলা যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত।

টাঙ্গাইল জেলার আয়তন কত এবং জনসংখ্যা কত?

অনেকের জানার আগ্রহ থাকে টাঙ্গাইল জেলার মোট জনসংখ্যা কত এবং আয়তন কত। ‌ আসুন এ সম্পর্কে আমরা দেখে নেই। টাঙ্গাইল জেলার মোট আয়তন হচ্ছে ৩৪১৩.৬৮ বর্গ কিলোমিটার। আর মোট আবাদি জমি হচ্ছে ১৮১১ কিলোমিটার, বনভূমি ৫০৯ বর্গ কিলোমিটার। ‌ টাঙ্গাইল জেলার বর্তমান জনসংখ্যা হচ্ছে ৪০ লাখ ৫ হাজার ৮৩ জন। পুরুষ সংখ্যা ১৯ লক্ষ ৫৭ হাজার ৩৭০ জন, মহিলা সংখ্যা হচ্ছে ২০ লক্ষ ৪৭ হাজার ৭১৩ জন। প্রতি বর্গ কিলোমিটারে মোট জনসংখ্যার ঘনত্ব হচ্ছে ১০৫৬  জন। ভোটার সংখ্যা ২৫ লক্ষ ১৫ হাজার ৩২৭ জন।

টাঙ্গাইল জেলার শিক্ষার হার কত?

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দিক থেকে টাঙ্গাইল জেলা বেশি এগিয়ে রয়েছে। ঠিক তেমনভাবে শিক্ষার হারের দিকেও অনেকটা এগিয়ে। টাঙ্গাইল জেলার মোট শিক্ষা হার ৬৫.০৮%. শিক্ষার হার ক্রমশ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ‌( Tangail gov bd )

টাঙ্গাইল জেলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

টাঙ্গাইল জেলা পর্যায় থেকে শুরু করে প্রতিটি গ্রামে রয়েছে শিক্ষা ব্যবস্থার সুযোগ। ‌যেমন প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ এবং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। আসুন এক নজরে টাঙ্গাইল জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা দেখে নেই।

  • মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
  • সরকারি সাদত কলেজ
  • টাংগাইল মেডিকেল কলেজ
  • মধুপুর কলেজ
  • গোপালপুর সরকারি কলেজ
  • রোকেয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা
  • ঘাটাল ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ
  • হাতিয়া হাজী হাফিজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়
  • সরকারি এম এম আলী কলেজ
  • কুমুদিনী সরকারি কলেজ
  • কুমুদিনী মহিলা মেডিকেল কলেজ
  • নাগরপুর সরকারি কলেজ
  • টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
  • বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
  • টাঙ্গাইল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট
  • সৃষ্টি স্কুল স্কুল এন্ড কলেজ
  • সরকারি জিবিজি কলেজ
  • মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ
  • কালিহাতী শাহজাহান কলেজ
  • মমতাজ ফকির উচ্চ বিদ্যালয়
  • হেমনগর শশীমুখী উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়
  • খন্দকার ফজলুল হক ডিগ্রী কলেজ
  • বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়
  • বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
  • মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়
  • মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান আদর্শ কলেজ
  • কালিহাতী আর এস পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়
  • ইব্রাহিম খাঁ কলেজ ভুয়াপুর
  • মাওলানা ভাসানী ডিগ্রী কলেজ
  • পিটিআই হাই স্কুল
  • টাঙ্গাইল কমার্স কলেজ
  • পুলিশ লাইন কলেজ

স্কুল এন্ড কলেজ ব্যতীত আরো অন্যান্য অনেক সেরা এবং ভালো মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।‌ অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এ জেলায়।

এক নজরে টাঙ্গাইল জেলার দর্শনীয় স্থান

টাঙ্গাইল হচ্ছে প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশ এবং আধুনিক ছোয়ার একটি জেলা‌। এখানে একেক এলাকার সংস্কৃতি একেক রকম হওয়ার কারণে আপনি টাঙ্গাইল ঘুরে পুরো টাঙ্গাইলের পরিবেশ দেখে মুগ্ধ হবেন। ‌ এখানে প্রাকৃতিক পরিবেশের পাশাপাশি বিভিন্ন কৃত্রিম পরিবেশে দর্শনীয় স্থান রয়েছে অনেক। ‌টাঙ্গাইলের ভ্রমণের সেরা জায়গাগুলো।

  • আতিয়া মসজিদ
  • ২০১ গম্বুজ মসজিদ
  • যমুনা বহুমুখী সেতু
  • মধুপুর জাতীয় উদ্যান
  • মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী মাজার
  • মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
  • ধলাপাড়া মসজিদ
  • ধলাপাড়া চৌধুরী বাড়ি
  • সন্তোষ জমিদার বাড়ি
  • ডিসি লেক
  • নাগরপুর জমিদার বাড়ি
  • দেলদুয়ার জমিদার বাড়ি
  • তিন শত বিগা চর
  • স্বপ্নবিলাস চিড়িয়াখানা
  • পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি
  • মুক্তিযুদ্ধ স্তম্ভ
  • রায় বাড়ি
  • বাসুলিয়া
  • ধনবাড়ী মসজিদ
  • ধনবাড়ী নবাব বাড়ি
  • মহেরা জমিদার বাড়ি
  • করাটিয়ার শাহদাত কলেজ
  • করোটিয়া জমিদার বাড়ি
  • ঐতিহ্যবাহী পোড়াবাড়ি
  • এলেঙ্গা রিসোর্ট
  • পাকুটিয়া আশ্রম
  • যমুনা নদীর পাড়
  • সাগরদিঘী
  • মধুপুর ও ভাওয়াল গড়
  • হেমনগর রাজবাড়ি

এই উপরের দর্শনীয় স্থানগুলো ব্যতীত আরো অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে টাঙ্গাইলে। যেখান থেকে আপনি খুব সহজেই ভ্রমণ করতে পারবে এবং আপনার প্রিয়জনদেরকে নিয়ে ঘুরে আসতে পারবেন।

টাঙ্গাইলের বিখ্যাত ব্যক্তিদের নাম

টাঙ্গাইলে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি রয়েছে যারা টাঙ্গাইল এবং দেশের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে অংশগ্রহণ করেছে এবং ভূমিকা পালন করেছেন। এক নজরে টাঙ্গাইল জেলা সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আপনার এ বিখ্যাত ব্যক্তিদের নাম জানা উচিত।

  • প্রিন্সিপাল ইব্রাহিম খা
  • মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী
  • শামসুল হক
  • শাজাহান সিরাজ
  • আবু সাঈদ চৌধুরী
  • আব্দুল কাদের সিদ্দিকী
  • প্রতুল চন্দ্র সরকার
  • রণদা প্রসাদ সাহা
  • নায়ক মান্না
  • আফরান নিশো
  • সুমন রাজা
  • প্রতুল চন্দ্র সরকার
  • বেলাল খান গায়ক

এছাড়াও রয়েছে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি যারা টাঙ্গাইলে জন্মগ্রহণ করেছে।

টাঙ্গাইলে কয়টি উপজেলা রয়েছে এবং উপজেলাগুলোর নাম কি কি?

টাঙ্গাইলে মোট ১২টি উপজেলা এবং মোট ১১১ টি ইউনিয়ন রয়েছে। ‌আসুন জেনে নেই কোন উপজেলায় মোট কতটি ইউনিয়ন রয়েছে সেগুলো আর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলা
টাঙ্গাইলের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত হচ্ছে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা। ‌ এই উপজেলায় রয়েছে মোট ১২ ইউনিয়ন। এটি টাঙ্গাইলের মধ্য মনিতে অবস্থিত।

ঘাটাল উপজেলা
ঘাটাল উপজেলায় মোট ১৪ টি ইউনিয়ন রয়েছে। ঘাটাইল উপজেলায় রয়েছে বেশ কিছু পাহাড়ি অঞ্চল। আর রয়েছে সেনাবাহিনীর শহীদ সালাউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট। ‌

কালিহাতি উপজেলা
সর্বমোট ১২ টি ইউনিয়নের গঠিত উপজেলা। ‌টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পরেই হচ্ছে কালিহাতী উপজেলার ভৌগলিক অবস্থান।

গোপালপুর উপজেলা
৭ টি ইউনিয়ন নিয়ে গোপালপুর উপজেলা গঠিত। কিছুটা অংশ যমুনা সেতুর তীরে রয়েছে। ‌তবে এর তিন জায়গায় অবস্থান করছে ধনবাড়ী, ভূয়াপুর, ঘাটাইল এবং কালিহাতির কিছু অংশ।

বাসাইল উপজেলা
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা বাসাইল উপজেলা মাত্র ছয়টি ইউনিয়নে গঠিত।

মির্জাপুর উপজেলা
১৪ টি ইউনিয়ন নিয়ে মির্জাপুর উপজেলা গঠিত। ‌বিভিন্ন ধরনের দর্শনীয় স্থান রয়েছে এখানে এবং মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ এখানে অবস্থিত।

নাগরপুর উপজেলা
১২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত নাগরপুর উপজেলা। ‌

সখিপুর উপজেলা
প্রাকৃতিক অপূর্ব সৌন্দর্যে ঘেরা সখিপুর উপজেলা। এখানে বসবাস করে কয়েক হাজারের অধিক লোক। ‌ এটি মোট আটটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।

দেলদুয়ার উপজেলা
লাউহাটি, দেউলি, ফাজিলহাটিসহ আরো পাঁচটি ইউনিয়নে গঠিত দেলদুয়ার। দশ টাকার নোটে যে হাতিয়া জামে মসজিদ দেখতে পাওয়া যায় সেটি এই দেলদুয়ারে অবস্থিত। ‌

মধুপুর উপজেলা
যেসব কারণে বিখ্যাত তার একটি হচ্ছে এই মধুপুরের আনারস। ‌ শহরের প্রবেশের পথে বড় একটি আনারসের একটি প্রতিকি দেখা যায়। এর দ্বারাই বোঝা যায় এই অঞ্চলের আনারস কতটা বিখ্যাত। মোট ছয়টি ইউনিয়ন নিয়ে মধুপুর উপজেলা গঠিত।

ধনবাড়ী উপজেলা
টাঙ্গাইল জেলার সবচেয়ে নতুন এবং সর্বশেষ যে উপজেলাটি করা হয়েছে সেটি হচ্ছে ধানবাড়ি উপজেলা। ‌মোট ৭টি ইউনিয়নে এই উপজেলা গঠিত।

এক নজরে টাঙ্গাইল জেলার ঐতিহ্য এবং টাঙ্গাইল কিসের জন্য বিখ্যাত ?

জেলা হচ্ছে প্রথম শ্রেণীর জেলাগুলোর মধ্যে একটি। ‌এ জেলাটি যেমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা ঠিক তেমনি এর অঞ্চলগুলো আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় উন্নত। যেমন এর পাশে রয়েছে যমুনা নদী ঠিক তার বিপরীত পাশে রয়েছে মানব সভ্যতার এক নতুন আধুনিক প্রজন্ম। ‌

পোড়াবাড়ির চমচম: টাঙ্গাইলের নাম শুনলে প্রথমে মানুষের মুখে প্রথম শোনা যায় পোড়াবাড়ির মিষ্টির কথা। টাঙ্গাইলের বিখ্যাত এই মিষ্টিটি সারা বাংলাদেশ জুড়ে সুনাম খ্যাতি অর্জন করেছে। ‌ সেই ২০০ বছর আগ থেকে এখন পর্যন্ত এই চমচম তার খ্যাতি ধরে রেখেছে। আসুন একটু জেনে নেই এ পোড়াবাড়ি জমজমের ইতিহাস। ইতিহাস বলে থেকে প্রায় ২০০ বছর আগে দশরথ গৌর নামে এক ব্যক্তি যমুনা নদীর তীরবর্তী স্থানে পোড়া বাড়িতে এসেছিলেন। তিনি যমুনার সুস্বাদু মৃদু পানি এবং এখানকার খাটি গুরুর দুধ দিয়ে প্রথম চমচম তৈরি করেছিলেন। ‌সেখান থেকে এই টাঙ্গাইল জমজমের এত জনপ্রিয়তা। ‌তখনকার ভারতবর্ষের অনেক অঞ্চলের এ পোড়াবাড়ির চমচম রপ্তানি করা হতো।

মৃৎশিল্প: টাঙ্গাইলের বিভিন্ন অঞ্চলে জালের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে মৃত শিল্পের কারিগরেরা।‌ বিভিন্ন ধরনের মাটির হাড়ি পাতিল বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র। ‌যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগে এবং তা শখের বসে অনেকের সাজিয়ে রাখতে পারে।

তাঁত শিল্প : এই শিল্প নিয়ে দুবার বলার কোন কথার প্রয়োজনই নেই। ‌কয়েকশো বছর আগ থেকে এই তাঁত গোষ্ঠীর জনপ্রিয়তা রয়েছে। ‌বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এখানে প্রতি সপ্তাহে কয়েক হাজার লোক আসে কেনাকাটা করতে। বিশেষ করে এখানে টাঙ্গাইলের শাড়ি আরও বেশি বিখ্যাত। ‌এক সূত্রে জানা গেছে টাঙ্গাইল করোটিয়া হাট এবং বাইজিদপুর হাত থেকে প্রতি সপ্তাহে কয়েক কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করা হয়। ‌অর্থাৎ বাংলাদেশের বৃহৎ তাঁত শিল্পের হাটের মধ্যে টাঙ্গাইলের এই দুটি হাটের অবস্থান শীর্ষে।

আসুন এক নজরে টাঙ্গাইল জেলার অন্যান্য সংস্কৃতি দেখে নেই। অন্যান্য সংস্কৃতির মধ্যে রয়েছে কৃষি, কাঠ শিল্প, বাশ এবং বেত শিল্প। এছাড়াও রয়েছে বিখ্যাত বিড়ি তৈরির ফ্যাক্টরি, তিল, গরুর চামড়া রপ্তানিকারক মুচি ইত্যাদি।

এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারলেন এক নজরে টাঙ্গাইল জেলার সকল তথ্য সম্পর্কে। ‌অন্যান্য জেলা সম্পর্কে জানতে আমাদের আই নিউজের সঙ্গে থাকুন।

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়