Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৭ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪:৪৬, ৩০ মে ২০২৩
আপডেট: ১৪:৫৫, ৩০ মে ২০২৩

ড. ইউনুসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

গ্রামীণ টেলিকম থেকে শ্রমিক-কর্মচারীদের অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগে ড. ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

আজ মঙ্গলবার (৩০ মে) এ মামলা করেছে দুদক। 

এদিকে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ১২ কোটি ১৬ লাখ টাকা দানকর ফাঁকির মামলার রায় ৩১ মে। দীর্ঘ ৭ বছর পর চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায়ের এ দিন ধার্য করেন উচ্চ আদালত।

মঙ্গলবার (২৩ মে) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার এবং বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের বেঞ্চ শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন।

অ্যার্টনি জেনারেল শুনানিতে বলেন, মৃত্যুভীতির কথা বলে নিয়নীতির তোয়াক্কা না করে অসৎ উদ্দেশ্যে কর ফাঁকি দেন ড. ইউনূস।

গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক নোবেল জয়ী ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১১-১২ থেকে ২০১৩-১৪ এই তিন অর্থ বছরে নিজের নামে গঠিত দুটি ট্রাস্ট ও একটি প্রতিষ্ঠানে ৭৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকা স্থানান্তর করা হয়।

আয়কর নথিতে বলা হয়েছে, এসব টাকা মৃত্যুভীতি থেকে ওইসব প্রতিষ্ঠানে দান করেন ড. ইউনূস। যদিও অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, মৃত্যু চিন্তা নয় অসৎ উদ্দেশ্যে, কর ফাঁকি দিতেই নিজের প্রতিষ্ঠানে নিজেই টাকা দান করেন ড. ইউনুস। এতে দানকর বাবদ রাষ্ট্রের পাওনা ১২ কোটি ১৬ লাখ ৭ হাজার টাকা। যা সুদ আসল মিলে পরিশোধ করতে হবে তাকে।

তবে ড. ইউনূসের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান শুনানিতে বলেন, আয়কর পরিশোধ করেই টাকা দান করেছেন তিনি। আর দান করার কারণে আইন অনুযায়ী তিনি কর অব্যাহতির সুবিধা পাবেন।

তিনি আরও জানান, ইউনূসের উপার্জনের মূল উৎস বক্তৃতা দেয়া। এতে প্রতি বক্তব্যের জন্য তিনি নেন ৫০ হাজার ডলার। ডলারের বর্তমান দাম অনুযায়ী বাংলাদেশি টাকায় ৫৪ লাখ টাকা। যদিও পরে এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি ড. ইউনূস।

উল্লেখ্য, ডক্টর ইউনূসের বিরুদ্ধে আরও তিনটি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১১০০ কোটি টাকার কর ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে। এ সংক্রান্ত কয়েকটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে উচ্চ আদালতে। 

এ ছাড়া গ্রামীণ টেলিকমের প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি ও পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান করছে দুদক।

আই নিউজ/এইচএ 

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়