Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৭ ১৪৩২

স্পোর্টস ডেস্ক, আইনিউজ

প্রকাশিত: ১৬:১৬, ২৮ জুলাই ২০২২

ফুটবল খেলা থেকে বাদ পড়তে পারে ‘হেড’ দেওয়া

ফুটবলারদের মধ্যে বাড়ছে ‘ডিমেনশিয়া’ বা স্মৃতিভ্রংশের মতো রোগ

ফুটবলারদের মধ্যে বাড়ছে ‘ডিমেনশিয়া’ বা স্মৃতিভ্রংশের মতো রোগ

আদিকাল থেকেই খেলাধুলার মধ্যে ফুটবলের প্রতি জাতি-গোষ্ঠী-দেশ নির্বিশেষে সকলের টানটাই বেশি। সেটা বিশ্বকাপ ফুটবলের একেকটি আসর আসলেই বুঝা যায়। আধুনিককালে এসে ফুটবলেও অনেক কাটছিট করা হচ্ছে, চেষ্টা চলছে যতো সম্ভব ঝুঁকি কমিয়ে খেলাকে আরও সুন্দর আর সাবলীল করে তোলা। কিন্তু সেই কাটছিট যে এবার পড়েছে ‘হেড’-এর দিকে।

হেডিং ফুটবলের এক অনবদ্য অংশ। এ অব্দি হওয়া বিশ্বকাপ ফুটবলের সকল আসরেই ‘হেড’ দিয়ে দেয়া কোনো না কোন গোল আলোচিত হয়েছে। কিন্তু এটাও সত্য যে কাজেকর্মে মাথার ব্যবহার যতোটা ভালো আর দরকারি খেলার মাঠে ঝুঁকির মধ্যে সেই মাথার ব্যবহার ততোটা বিপজ্জনকও। তাই এ বার জানা গিয়েছে, হয়তো ভবিষ্যতে ফুটবল খেলায় হেড করাই যাবে না।

ফুটবলের কর্তারা বলে ‘হেড’ দেওয়া নিষিদ্ধ করে দিতে পারেন। আজ বা কালই এই নিষেধাজ্ঞা আসবে না। কিন্তু অনেক রকম বিধিনিষেধ দেওয়া হচ্ছে।

বিষয় অনেক। প্রথম, স্বাস্থ্য। ম্যাচ এবং অনুশীলনে ক্রমাগত হেড দেওয়ার ফলে এক শ্রেণির ফুটবলারের মধ্যে স্বাস্থ্যের অবনতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফুটবলারদের মধ্যে বাড়ছে ‘ডিমেনশিয়া’ বা স্মৃতিভ্রংশের মতো রোগ। দ্বিতীয়ত, দুর্ঘটনা। আধুনিক বিশ্বে দ্রুত গতির ফুটবলে কোনও দলই কাউকে ছেড়ে কথা বলে না। হেড করতে যাওয়ার সময় প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটছে। পরবর্তী কালে খেলোয়াড়দের শারীরিক স্বাস্থ্যে সামগ্রিক ভাবে এর প্রভাব লক্ষ করা যাচ্ছে।

ফুটবলের আইন যারা তৈরি করে, সেই ‘আইএফএবি’ ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে সক্রিয় হয়েছে। ১২ বছরের নীচে ফুটবলাররা যাতে অনুশীলনে বা ম্যাচে হেড না করে, তার জন্য আইএফএবির অনুমতি আদায় করে নিয়েছে ইংল্যান্ডের ফুটবল সংস্থা ‘এফএ’। আপাতত বিষয়টি পরীক্ষামূলক ভাবে দেখা হচ্ছে। পরীক্ষা সফল হলে দু’বছরের মধ্যে অনূর্ধ্ব-১২ ফুটবলারদের হেড দেওয়া পুরোপুরি নিষিদ্ধ হয়ে যাবে!

আইএফএবি জানিয়েছে, রাতারাতি হেড করা তুলে দেওয়ার চেষ্টা তারা করছে না। চেষ্টা হচ্ছে, খুদে ফুটবলাররা যাতে হেড করতে গিয়ে অবাঞ্ছিত কোনও দুর্ঘটনার মধ্যে না পড়ে। বয়স বাড়লে ধীরে ধীরে তাদের হেড করার অনুমতি দেওয়া হবে। ২০২০ সালে এফএ তাদের নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানিয়েছে, পেশাদার ফুটবলাররা অনুশীলনের সময় সপ্তাহে ১০টির বেশি হেড করতে পারবেন না।

হেড করা এবং ‘ক্রনিক ট্রমাটিক এনসেফালোপ্যাথি’ (সিটিই) আর ডিমেনশিয়ার মধ্যে কোনও সম্পর্ক আছে কি না, তা নিয়ে এফএ ইতিমধ্যেই গবেষণা শুরু করেছে। অতীত পরিসংখ্যান থেকে এটা স্পষ্ট যে, হেডিংয়ের সঙ্গে স্নায়ুরোগের সম্পর্ক পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ২০০২ সালে স্নায়ুর রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ফুটবলার জেফ অ্যাশলে। মৃত্যুর পর জানা যায়, তিনি সিটিই-তে ভুগছিলেন।

তাই ফুটবল থেকে ‘হেড’ বাদ দেয়া যায় কিনা তা নিয়ে চিন্তা করা হচ্ছে। আসলেই বাদ দেয়া হবে কিনা তা দেখা যাবে ভবিষ্যৎ ফুটবলে চিত্রপটে।

আইনিউজ/এইচএ

দেখুন আইনিউজের ভিডিও গ্যালারি

মানুষ হত্যা করেছে মা হাতিকে, দুধের জন্য কাঁদছে বাচ্চা হাতিটি

৪০ লক্ষ টাকায় বিক্রি হলো একটি মাছ, রাতরাতি ধনী জেলে

দুবাইয়ে লটারি জিতে একরাতে কোটিপতি বাংলাদেশী যুবক | দুবাই প্রবাসী

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়