Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৩ ১৪৩২

আইনিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৫৬, ২০ আগস্ট ২০২২

বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের ৫১তম শাহাদতবার্ষিকী আজ

বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান। - ছবি : সংগৃহীত

বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান। - ছবি : সংগৃহীত

বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমানের ৫১তম শাহাদতবার্ষিকী আজ। ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে পাকিস্তানের থাট্টায় বিমান বিধ্বস্ত হয়ে তিনি শাহাদত বরণ করেন। 

একাত্তর সালের ৯ মে দেশ থেকে করাচিতে ফিরে কর্মস্থলে যোগ দেন মতিউর রহমান। এরপর ২০ আগস্ট মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষানবিশ পাইলটকে ক্লোরোফর্ম দিয়ে অচেতন করে পাকিস্তানি জঙ্গি বিমান দখলে নিয়ে দেশে ফেরার চেষ্টা করেন তিনি।

তার মৃতদেহ ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আধা মাইল দূরে পাওয়া যায়। সেখান থেকে করাচির মাসরুর বিমানঘাঁটির চতুর্থ শ্রেণির কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের কবরের সামনে লেখা ছিল- ‘ইধার সো রাহা হ্যায় এক গাদ্দার।’

স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমানের অসীম সাহসিকতা, দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের মূল্যায়নস্বরূপ তাকে ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত করে। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর ২০০৬ সালের ২৪ জুন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় স্বাধীন বাংলার মাটিতে পুনরায় তার মরদেহ সমাহিত করা হয় ঢাকার মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী সমাধিক্ষেত্রে।

প্রায় ভারতের সীমান্তে পৌঁছে যাওয়া অবস্থায় পাকিস্তানি শিক্ষানবিশ পাইলট রাশেদ জ্ঞান ফিরে পাওয়ায় বিমানটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তার সাথে মতিউরের ধস্তাধস্তি চলতে থাকে এবং এক পর্যায়ে রাশেদ ইজেক্ট সুইচ চাপলে মতিউর বিমান থেকে ছিটকে পড়েন। কম উচ্চতায় উড্ডয়ন করার ফলে একসময় রাশেদসহ বিমানটি ভারতীয় সামন্ত থেকে মাত্র ৩৫ মাইল দূরে থাট্টা এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।

দেশের এই মহান সন্তানের জন্ম ১৯৪১ সালের ২৯ নভেম্বর ঢাকার আগাসাদেক রোডের পৈতৃক বাড়িতে। প্রাথমিক পড়ালেখা শুরু হয় ঢাকার কলেজিয়েট স্কুলে। এরপর ভর্তি হন সারগোদায় বিমানবাহিনী পাবলিক স্কুলে। ১৯৬১ সালে পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে যোগ দেন তিনি। ১৯৬৩ সালে রিসালপুর পিএএফ কলেজ থেকে পাইলট অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করেন। 

কমিশনপ্রাপ্তির পর তিনি করাচির মৌরিপুর (বর্তমান মাসরুর) এয়ার বেজের ২ নম্বর স্কোয়াড্রনে জেনারেল ডিউটি পাইলট হিসেবে নিযুক্ত হন। এখানে তিনি টি-৩৩ জেট বিমানের ওপর কনভার্সন কোর্স সম্পন্ন করেন। ইরানের রানী ফারাহ দিবার সম্মানে পেশোয়ারে যে বিমান মহড়া অনুষ্ঠিত হয়, তাতে তিনিই একমাত্র বাঙালি পাইলট ছিলেন। 

১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় ফ্লাইং অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন মতিউর রহমান। এরপর মিগ কনভার্সন কোর্সের জন্য পুনরায় সারগোদায় গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে ১৯৬৭ সালের ২১ জুলাই একটি মিগ-১৯ বিমান চালানোর সময় আকাশে সেটা হঠাৎ বিকল হয়ে গেলে অসীম দক্ষতার সঙ্গে প্যারাসুটের মাধ্যমে মাটিতে অবতরণ করেছিলেন তিনি। ১৯৬৭ সালে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট পদে পদোন্নতি লাভ করেন মতিউর রহমান।

বীর শ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান (২৯ অক্টোবর ১৯৪১ - ২০ আগস্ট ১৯৭১) বাংলাদেশের একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে চরম সাহসিকতা আর অসামান্য বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ যে সাতজন বীরকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান “বীর শ্রেষ্ঠ” উপাধিতে ভূষিত করা হয় তিনি তাদের অন্যতম।

আইনিউজ/এসকেএস

দেখুন আইনিউজের ভিডিও গ্যালারি

কৃষক হালচাষ করে, উৎসবে মেতে পেছনে পেছনে ঘুরে বেড়ায় ফিঙে পাখির দল | Drongo Birds | Farmer | Eye News

 

দুর্গা পূজা, দেবী বরণে প্রস্তুত শারদ প্রাঙ্গণ | Durgapuja 2021 | Moulvibazar

নীলাদ্রি লেক আমাদের এক টুকরো কাশ্মীর | পাখির চোখে নীলাদ্রি

আড়ি পাতা বন্ধে মেসেঞ্জারে আসছে হোয়াটসঅ্যাপের সুবিধা

আড়ি পাতা বন্ধে মেসেঞ্জারে আসছে হোয়াটসঅ্যাপের সুবিধা

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়