মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
আপডেট: ১৩:১৪, ৩ মার্চ ২০২৪
মৌলভীবাজারে মবশ্বির-রাবেয়া ট্রাস্টের উদ্যোগে ৫ দিনব্যাপী ফ্রি চক্ষু শিবির
ফ্রি চক্ষু শিবিরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মৌলভীবাজার পৌর সভার মেয়র মো. ফজলুর রহমান। ছবি- আই নিউজ
মৌলভীবাজার পৌর এলাকার পশ্চিম ধরকাপন এলাকায় মবশ্বির-রাবেয়া ট্রাস্টের উদ্যেগে দশম বারের মতো ৫দিন ব্যাপী ফ্রি চক্ষু শিবির ২০২৪ এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
শনিবার (০২ মার্চ) সকাল ৯টায় মৌলভীবাজার বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থায় ফ্রি চক্ষু শিবিরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মৌলভীবাজার পৌর সভার মেয়র মো. ফজলুর রহমান।
মবশ্বির-রাবেয়া ট্রাষ্টের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সৈয়দ হুমায়েদ আলী শাহীনের সভাপতিত্বে ও ট্রাষ্টের নির্বাহী পরিচালক এস এম উমেদ আলীর সঞ্চালনায় আন্যনদের বক্তব্য রাখেন, বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের সহ সভাপতি ডা. ছাদিক
আহমদ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোসাহিদ আহমদ চন্নু, হাসপাতালের ব্যবস্থাপক (এডমিন) মো. এহসানুল মান্নান প্রমুখ।
অন্যন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামেয়া দ্বীনিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ রাফিদ আহমদ, বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের পাবলিক রিলেশন অফিসার দেওয়ান রুহুল আমিন চৌধুরী।
এ ছাড়াও, উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ মমশাদ আলী, সৈয়দ মাহমুদ আলী, সৈয়দ তালহা আহমদ, সৈয়দ জাহিদ আলী, সৈয়দ মুজতাহিদ আলী, সৈয়দ ওসমান গণি (ইফতি), সৈয়দ মো. সামিন ইয়াসার, সৈয়দ মো. সাকিফ হাসনাত, সৈয়দ মো. সাফাত আফসার, সৈয়দ ইমতিয়াজ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পৌর মেয়র মো. ফজলুর রহমান বলেন, প্রতি বছর মবশ্বির-রাবেয়া ট্রাষ্ট্রের উদ্যেগে বড় পরিসরে ফ্রি চক্ষু শিবির চালু রেখেছেন। যা মানবতার সেবায় একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। প্রতি বছরই এ সেবার সাথে অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষরা তাদের সার্বিক সহযোগীতা পেয়ে উপকৃত হচ্ছেন। মবশ্বির-রাবেয়া ট্রাস্ট যেভাবে চিকিৎসা সেবা গরীবদের দিচ্ছে তেমনি সমাজের বৃত্তবানরা অন্যান্য চিকিৎসা সেবা দিলে অসহায় মানুষরা সেবা পাবে। ট্রাষ্টের এ কার্যক্রমের মাধ্যমে জেলা ব্যাপী ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। এই কাজটি একটি সওয়াবের কাজ। ফ্রি চক্ষু শিবির সহ মানবতার কল্যাণে তাদের সকল কার্যক্রমের সফলতা কামনা করছি।
মবশ্বির-রাবেয়া ট্রাস্ট ২০১৪ সালে প্রথম ফ্রি চক্ষু শিবিরের কার্যক্রম শুরু করে। প্রথম বছর ২০১৪ সালে ছানিপড়া ৯০ রোগীকে অপারেশন করা হয়। ২০১৫ সালে ছানিপড়া রোগী ১১৭ জন, ২০১৬ সালে ছানীপড়া রোগী ১২০ জন, ২০১৭ সালে ছানীপড়া রোগী ১৯৫ জন ও চোখের নেত্রনালী (ডিসিআর) ৫১ জন, ২০১৮ সালে ছানীপড়া রোগী ২১০ জনকে ও চোখের নেত্রনালী (ডিসিআর) ৭০ জন, ২০১৯ সালে চোখের ছানিপড়া ১৮৪ জন ও চোখের নেত্রনালী (ডিসিআর) ৭০ জন, ২০২০ সালে চোখের ছানিপড়া ১৩৫ জন ও চোখের নেত্রনালী (ডিসিআর) ৬৭ জন, ২০২২ সালে চোখের ছানিপড়া ১৮৫ জন ও চোখের নেত্রনালী (ডিসিআর) ৬৩ জন ও ২০২৩ সালে চোখের ছানিপড়া ১৯০ জন ও চোখের নেত্রনালী (ডিসিআর) ৭০ জন রোগীকে অপারেশন করা হয়।
প্রতিষ্ঠানটি চক্ষু সেবার পাশাপাশি করোনা কালে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিতরণ, গৃহ নির্মাণ, রিকশা বিতরণ, রমজান মাসে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, হজ্ব প্রশিক্ষণ, অসহায় ও এতিমদের জন্য নগদ অনুদান প্রদান সহ আর্থ-মানবতার সেবায় বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে।
আয়োজকরা জানান, দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা শেষে এ বছর ছানিপড়া রোগী প্রায় ১৬০ জন ও নেত্রনালী (ডিসিআর) ৬০ জন রোগী অপারেশনের জন্য বাছাই করা হয়। অপারেশন ব্যাতীত প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়া রোগীদের ঔষধ ও চশমা প্রদান করা প্রায় ১৫’শ জনকে।
ফ্রি চক্ষু শিবিরের ২ মার্চ থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত বাছাইকৃত ছানিপড়া রোগীদের বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে অপারেশন কার্যক্রম চলবে। চোখের নেত্রনালী (ডিসিআর) অপারেশন পর্যায় ক্রমে করা হবে।
আই নিউজ/এইচএ
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’