Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, রোববার   ২৭ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ১৪ ১৪৩২

বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬:০৬, ১৬ আগস্ট ২০২২
আপডেট: ১৬:১০, ১৬ আগস্ট ২০২২

শ্রম অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালকের সঙ্গে চা শ্রমিকদের বৈঠক 

১২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা দৈনিক মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন চা শ্রমিকরা। - ছবি : আইনিউজ

১২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা দৈনিক মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন চা শ্রমিকরা। - ছবি : আইনিউজ

মুজুরি বাড়ানোর দাবিতে দুইদিন বিরতির পর দেশের সকল চা বাগানে শ্রমিকদের আন্দোলন চতুর্থ দিনে গড়িয়েছে। চলমান আন্দোলনের মধ্যেই চা-শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন শ্রম অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী। 

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বিভাগীয় উপ- শ্রম পরিচালকের কার্যালয়ে এই বৈঠক শুরু হয়েছে আজ মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বেলা ১২টায়। গত মঙ্গলবার থেকে চা বাগানের শ্রমিকেরা ১২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা দৈনিক মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন। এ সময়ে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ও হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে আন্দোলনরত শ্রমিকেরা সড়কও অবরোধ করেন।

এদিকে শ্রমিকদের আন্দোলনের কারনে চা বাগানগুলোতে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এতে চা পাতার কুঁড়ি গাছেই নষ্ট হচ্ছে। ফলে চা উৎপাদনের ভরা মৌসুমে বিরাট অঙ্কের আর্থিক ক্ষতিতে পরেছে দেশের চা শিল্প।

চা শ্রমিক নেতারা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের পূর্বনির্ধারিত কর্মবিরতি কর্মসূচি পালিত হবে। বৈঠকের কারনে কর্মসূচি স্থগিত রাখার কোনো সুযোগ নেই।

শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের উপ-পরিচালক নাহিদুল ইসলাম বলেন, চা শ্রমিকদের আন্দোলন স্থগিত করে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের জন্য শ্রমিক নেতাদের চিঠি দিয়ে অনুরোধ করা হয়েছে। শ্রম অধিদপ্তর উদ্ভুত পরিস্থিতি নিরসনে চেষ্টা করছে। আন্দোলনের কারনে দুই পক্ষেরই ক্ষতি হচ্ছে। চা শিল্পে সংকট তৈরি হয়েছে।

বৈঠকে উপস্থিত বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন, চা-শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ১০ জনের একটি প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নিয়েছি। বৈঠক চলছে। কিন্তু এই বৈঠকে মালিকপক্ষের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত নেই। শ্রম অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আমাদের আন্দোলন স্থগিত করার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু আমরা বলেছি, আলোচনার পাশাপাশি আন্দোলনও চলবে। তিনি বলেন, গত ১৯ মাস ধরে আমরা আলোচনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছি। কেউ আসেনি আলোচনার জন্য। এখন আন্দোলন স্থগিত করার প্রশ্ন উঠছে কেনো?

বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের ধর্মঘট তুলে আলোচনায় বসতে বলা হয়েছে। আমরা এই অনুরোধ রাখতে পারছি না। সরকারের অনুরোধের প্রতি সম্মান জানিয়ে ১৭ আগস্টের মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। তবে সড়ক অবরোধের কর্মসূচি পালিত হবে কি-না তা নির্ভর করছে শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হবে কিনা তার উপর। 

এদিকে শ্রম অধিদপ্তরে যখন চা-শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক চলছিলো তখন শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভাড়াউড়া চা বাগানে গিয়ে দেখা গেছে শ্রমিকেরা প্রধানত নারী শ্রমিকেরা  চা কারখানার সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন।

আইনিউজ/বিশ্বজয়তি চৌধুরী/এসকেএস

দেখুন আইনিউজের ভিডিও গ্যালারি

মৌলভীবাজারে জাতির পিতার পদচিহ্ন নিয়ে ‘খুঁজে ফিরি পিতার পদচিহ্ন’

শেখ রাসেলকে নিয়ে লেখা কবিতা- `বিশ্বমানব হতেই তবে` ।। তাওফিকা মুজাহিদ ।। আবৃত্তি ।। EYE NEWS

নয় বছরের মেয়েটি কিভাবে নেভায় একের পর এক আগুন?

ইসলাম ও কুরআনের আলোকে মাতৃভাষা বাংলার গুরুত্ব

আরও পড়ুন
Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়